ঢাকা অফিস ॥ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে উদ্ভাবিত ‘অক্সিজেট’ ডিভাইসটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করতে ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদন মিলছে নাÑ বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর তা নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। গতকাল মঙ্গলবার ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন, চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ নাঈম গোলদার স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ব্যাখ্য দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুয়েটের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে উদ্ভাবিত ‘অক্সিজেট’ নামের মেডিকেল ডিভাইসটির পারফরমেন্স ট্রায়াল অনুমোদনের জন্য এখনো ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে কোনো আবেদন দাখিল করা হয়নি। এতে আরও বলা হয়, মানুষের শরীরে ব্যবহারের জন্য নব-উদ্ভাবিত কোনো মেডিকেল ডিভাইস মানুষের শরীরের জন্য কতটুকু নিরাপদ এবং কার্যকর তা পারফরম্যান্স স্টাডির-এর মাধ্যমে যাচাই করে এবং মেডিকেল ডিভাইসটির উৎপাদন ও মাননিয়ন্ত্রণ সুযোগ-সুবিধাদি মূল্যায়নের পর রেজিস্ট্রেশন এবং বাজারজাত করার অনুমোদন দেয়া হয়। যেহেতু অক্সিজেট নামের মেডিকেল ডিভাইসটি মানবদেহে চিকিৎসায় ব্যবহৃত হবেÑএ কারণে মেডিকেল ডিভাইসটির ক্লিনিক্যাল পারফরমেন্স ট্রয়াল প্রটোকল অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ-বিএমআরসির ইথিক্যাল ক্লিয়ারেন্সসহ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে বুয়েটের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আবেদন করা প্রয়োজন। সন্তোষজনক পারফরমেন্স ট্রায়াল রিপোর্টপ্রাপ্তি এবং মেডিকেল ডিভাইসটি আইএসও : ১৩৪৮৫ কমপ্লায়েন্স কারখানায় উৎপাদন ও যথাযথ মাননিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিশ্চিত সাপেক্ষে বাজারজাত করার জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রদান করা হবে। জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তার জন্য রেজিস্ট্রেশনের পাথওয়ে (যথাযথ বিধি) অনুসরণ করা হয়। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর এ ধরনের দেশীয় উদ্ভাবনকে সব সময় উৎসাহিত করে এবং সুবিধা দিয়ে থাকে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ১২ জুন বুয়েটের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. তৌফিক হাসান ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে বায়োমেডিকেল ‘অক্সিজেট’ নামের মেডিকেল ডিভাইসটির বিষয়ে মৌখিকভাবে অবহিত করলে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে ডিভাইসটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের জন্য দেশের মেডিকেল ডিভাইস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জেএমআই, এএনসি, গেটওয়েল, ইনসেন্টা মেডিকেল ডিভাইস-এর শীর্ষ পর্যায়ের টেকনিক্যাল কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের সম্ভাব্য পথকে সুগম করে দেয়া হয় এবং তাকে ক্লিনিক্যাল পারফরমেন্স ট্রায়াল প্রটোকল অনুমোদন গ্রহণের জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে আবেদন করার জন্য পরামর্শ দেয়া। তবে এখন পর্যন্ত তারা আবেদন করেননি।বিষয়টি ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে শুরু থেকেই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply