ক্রীড়া প্রতিবেদক ॥ গত বছরের শেষে বাংলাদেশের মাটিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২৬৩ রান করে সিরিজসেরা হয়েছিলেন। দেশে ফিরে ঘরোয়া কায়েদ-ই আজম ট্রফিতেও দারুণ পারফর্ম করছিলেন আবিদ আলী। কিন্তু সেই টুর্নামেন্টে খেলতে খেলতেই তিনি আক্রান্ত হন হৃদরোগে! পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে আবিদ আদৌ বেঁচে থাকবেন কি না সেটা নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়। সেই আবিদ এনজিওপ্লাস্টির পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। এমনকি মাঠে ফেরার পরিকল্পনাও করছেন ৩৪ বছর বয়সী ওপেনার। দুই দফা এনজিওপ্লাস্টির পর চার মাস ধরে আবিদকে কনজারভেটিভ কার্ডিয়াক পুনবার্সনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। এরপর তিনি ট্রেডমিলে হাঁটার অনুমতি পান। এরপর শুরু করেন নির্দিষ্ট গতিতে দৌড়। গত মাসে তিনি রীতিমতো অনুশীলনে ফিরেছেন। পরে কয়েক দফা ফিটনেস টেস্ট দিয়ে আবিদকে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরার অনুমতি দেয় পিসিবি। সম্প্রতি ফয়সালাবাদে স্থানীয় একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে তিনি খেলেছেন। এবার তাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সামনেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ আছে পাকিস্তানের। তার আগে ক্রিকেটে ফেরার অনুমতি পেয়ে উচ্ছ্বসিত আবিদ ক্রিকইনফোকে বলেছেন, ‘পাকিস্তানের হয়ে আবার খেলার সম্ভাবনায় আমি সত্যিই রোমাঞ্চিত। চিকিৎসকরা আমাকে মাঠে ফেরার অনুমতি দিয়েছে এবং অবশেষে আমি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পেরেছি। আরো কিছুদিন ওষুধের ওপর থাকতে হবে। তবে শারীরিকভাবে আমি ভালো অনুভব করছি। ডাইভিং, রানিং, জগিং, ব্যাটিং, সব করতে পারছি এবং স্বাভাবিক হতে পারাটা দারুণ। ‘ অসুস্থ অবস্থায় নিজের মানসিক অবস্থা নিয়ে টেস্ট ও ওয়ানডে উভয় ফরম্যাটের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা ইতিহাসের একমাত্র ক্রিকেটার আবিদ আরো বলেন, ‘হার্টের অবস্থার কারণে সংশয় ছিল যে আবার ক্রিকেট মাঠে ফিরতে পারব কি না। তবে আমি আশা হারাইনি। কিছুদিনের জন্য ক্রিকেট নিয়ে ভাবাই বন্ধ করে দিয়েছিলাম। প্রথম লক্ষ্য ছিল, আগে সুস্থ হওয়া। সময়টা কঠিন ছিল। তবে ব্যাপকভাবে পুনবার্সন প্রক্রিয়ার পর খুব ভালোভাবে কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। ‘
Leave a Reply