ক্রীড়া প্রতিবেদক ॥ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসতে এখনও বেশ দেরি। তবে কোনও দল বসে নেই। অক্টোবর-নভেম্বরে হতে যাওয়া আসরের জন্য দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আর সেটি করছে তারা মাঠের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে। কয়েকটা জায়গা ‘অটো চয়েজ’ থাকে, আর কিছু জায়গা নজরকাড়া পারফরম্যান্সে মেলে। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দলের এই ‘কিছু জায়গা’ পাওয়ার লড়াই হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ সফরে। ওয়ানডে বিশ্বকাপ পাঁচবার জিতলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এখনও অধরা অস্ট্রেলিয়ার। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্ব জয়ের স্বপ্ন আবার দেখছে তারা। অ্যারন ফিঞ্চের নেতৃত্বে অভিজ্ঞ ও তারুণ্যের মিশেলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নামতে পারে অস্ট্রেলিয়া। সেই দলের সঙ্গী হতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বংলাদেশ সফর ‘মূল পরীক্ষা’ হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করছেন ফিঞ্চ। বিশেষ করে, বাংলাদেশ সফরের পারফরম্যান্সকে সবচেয়ে বেশি মূল্যায়ন করার কথা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার। এবারের বিশ্বকাপের আয়োজক ভারত। যদিও করোনাভাইরাস শঙ্কায় প্রতিযোগিতাটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলে পারে। ভারত কিংবা আরব আমিরাত- যেখানেই হোক, কন্ডিশন ও উইকেট প্রায় বাংলাদেশের মতোই। তাই বাংলাদেশ সফরের পারফরম্যান্স খুলে দিতে পারে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দলের দরজা। অক্টোবর-নভেম্বরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ‘প্রস্তুতি’র শুরুতে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে সফরে যাবে অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ টি-টোয়েন্টি ও তিন ওয়ানডের সীমিত ওভারের সফরটি শুরু ৯ জুন। এরপর আগস্টের শুরুতে বাংলাদেশে ফিঞ্চরা খেলবে পাঁচ টি-টোয়েন্টি। এই মিশনের আগে ফিঞ্চ দলের সব খেলোয়াড়ের জন্য বার্তা পাঠিয়েছেন যে, বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজে ভালো করলে জায়গা মিলবে বিশ্বকাপ দলে। অস্ট্রেলিয়ার সীমিত ওভারের অধিনায়কের বক্তব্য, ‘এই সফরের পারফরম্যান্স তাদের (বিশ্বকাপে) জায়গা নিশ্চিতের সুযোগ করে দেবে। আমার মনে হয়, ছেলেদের অনেক বেশি সুযোগ রয়েছে। এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দারুণ জায়গায় রয়েছে। ছেলেরা বিগ ব্যাশ ও ঘরোয়া ক্রিকেট দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করছে।’ চলতি মাসের শুরুর দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ সফরের জন্য ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। যেখানে নতুন করে ছয়জনকে ডাকা হয়েছে, যার মধ্যে যোগ করা হয়েছে নতুন মুখ ওয়েস অ্যাগারকে। দুটি সফরে ভালো করলে সেখান থেকে বিশ্বকাপ দলেও সুযোগ হয়ে যেতে পারে। কারণটা হলো কন্ডিশন ও উইকেটের আচরণ। ফিঞ্চের ব্যাখ্যা, ‘তোমারা (খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যে) বর্তমান ফর্ম নিয়ে যাচ্ছো। আর যেখানে খেলা হবে, সেখানকার কন্ডিশন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (আয়োজকদের) মতোই। বিশেষ করে, সেন্ট লুসিয়ায় আমরা যে ধরনের কন্ডিশনে খেলবো। এরপর আছে বাংলাদেশ, যেখানকার কন্ডিশন ভারত কিংবা আরব আমিরাত, যেখানেই বিশ্বকাপ হোক, সেটার সঙ্গে অনেক মিল আছে।’
You cannot copy content of this page
Leave a Reply