ক্রীড়া প্রতিবেদক \ করোনার থাবায় স্থগিত হয়েছে আইপিএল। ঠিক কবে নাগাদ আবার জমজমাট ক্রিকেট লিগ মাঠে গড়াতে পারে, অনিশ্চিত। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) সুবিধাজনক সময়ে চালু করার কথা শুনিয়েছে। কিন্তু যদি এবারের আইপিএল শেষ করা না যায়, তাহলে? মোটা অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে বিসিসিআই। আর সেই অঙ্কটা প্রায় আড়াই হাজার কোটি রুপি! সংস্থাটির প্রধান সৌরভ গাঙ্গুলী নিজেই জানিয়েছেন এই অঙ্কের কথা। ভারতের ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি মধ্যেও চলছিল আইপিএল। টুর্নামেন্ট কমিটি ও বিসিসিআইয়ের বিশ্বাস ছিল তাদের জৈব সুরক্ষা বলয় নিয়ে। যদিও সুরক্ষা দেয়াল টেকেনি। করোনা হানা দেওয়ার একদিন পরই আইপিএল স্থগিতের ঘোষণা আসে। সুরক্ষা দেয়াল ভেদ করে কীভাবে আইপিএলে করোনা ঢুকলো, এই প্রশ্নের যেমন উত্তর খোঁজা হচ্ছে, তেমনি আগ্রহ তৈরি হয়েছে আইপিএল ফেরার সম্ভাব্য তারিখ জানার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, ভারতে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আইপিএলের বাকি অংশ চলে যেতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। যদিও বিসিসিআই সেই সম্ভাবনার বিষয়ে এখনও কিছু বলেনি। তবে সেপ্টেম্বরের দিকে আবার আইপিএল মাঠে ফিরতে পারে, সেই ইঙ্গিত অবশ্য দিয়েছেন ভারতীয় বোর্ডের সহ-সভাপতি রাজিব শুক্লা। কিন্তু চাইলেই তো হবে না, সে সময় জাতীয় দলের ব্যস্ত সূচিতে বেশিরভাগ বিদেশি খেলোয়াড়কে না পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আইপিএল যদি ফের শুরু করা না যায়, তাহলে মোটা অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি হবে। সেই ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ, ‘মাত্র তো একদিন হলো আইপিএল স্থগিত হওয়ার। আমরা অন্যান্য বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করবো, দেখবো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আর কোনও উইন্ডো পাওয়া যায় কিনা। এর সঙ্গে আসলে অনেক কিছু জড়িত। যদি আমরা এ বছরের আইপিএল শেষ করতে না পারি, তাহলে ক্ষতি হবে আড়াই হাজার কোটি রুপির কাছাকাছি।’ গত ৯ এপ্রিল শুরু হয়েছিল আইপিএলের ১৪তম আসর। করোনার কারণে স্থগিত হওয়ার আগে শেষ হয়েছে ২৯ ম্যাচ। ৩০তম ম্যাচে এসে হানা দেয় করোনা, যে কারণে স্থগিত হয় কলকাতা-বেঙ্গালুরু ম্যাচ। সে পর্যন্ত ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে দিল্লি ক্যাপিটালস। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলা চেন্নাই ২ পয়েন্টে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। সমান ম্যাচে বেঙ্গালুরুর সমান পয়েন্ট হলেও নেট রানরেটে পিছিয়ে তারা।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply