ঢাকা অফিস ॥ আজ বুধবার দেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার যথাযথ ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সারাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে। তবে পবিত্র ঈদুল ফিতর বৃহস্পতি না শুক্রবার হবে তা জানা যাবে আজ বুধবার সন্ধ্যায়। ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণে বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসবে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় (বাদ মাগরিব) এ সভা হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। গতকাল মঙ্গলবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সভায় ১৪৪২ হিজরির শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা করে ঈদুল ফিতর উদযাপনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। একমাস রমজানের রোজা শেষে শাওয়াল মাসের ১ তারিখে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। বুধবার দেশের আকাশে শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেলে পরের দিন বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আর বাংলাদেশের কোথাও চাঁদ দেখা না গেলে বৃহস্পতিবার রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে ঈদ উদযাপিত হবে আগামী শুক্রবার। বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ৯৫৫৯৪৯৩, ৯৫৫৫৯৪৭, ৯৫৫৬৪০৭ ও ৯৫৫৮৩৩৭ টেলিফোন নম্বরে ফোন করে এবং ৯৫৬৩৩৯৭ ও ৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে ফ্যাক্স করে বা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এদিকে আজ বুধবার থেকে ঈদুল ফিতরের ছুটি শুরু হলে ঈদের আগে গতকাল মঙ্গলবারই ছিল শেষ কর্মদিবস। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে চলমান বিধিনিষেধ (লকডাউন) বহাল থাকবে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত। বিধিনিষেধের নির্দেশনা অনুযায়ী, জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ রয়েছে। সীমিত পরিসরে হয়েছে ব্যাংক লেনদেন। জেলার মধ্যে চলছে বাস। আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। বন্ধ আছে ট্রেন ও লঞ্চ। খোলা ছিল শিল্প-কারখানা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রয়েছে। বিধিনিষেধের শুরুর দিকে সরকারি অফিস বন্ধের সিদ্ধান্ত জোরালোভাবে কার্যকর ছিল। গত ৫ মে থেকে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর পর থেকে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কার্যক্রম বেড়েছে। তাই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি বেড়েছে। বুধবার থেকে ঈদুল ফিতরের ছুটি হওয়ায় ঈদের আগে গতকাল মঙ্গলবারই ছিল শেষ কর্মদিবস। কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আটদিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। লকডাউনের মধ্যে পালনের জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। পরে তিন দফা লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply