ঢাকা অফিস ॥ করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলছে কঠোর লকডাউন। কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নেমেছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাবও। অব্যাহত রয়েছে গ্রেপ্তার, জরিমানা ও মামলা। এরপরও মানুষের চলাচল সেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। কোন কিছুর তোয়াক্কা না করেই ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন মানুষ। এমন অবস্থা চলতে থাকলে করোনা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রথমদিকে রাজধানী ঢাকার সড়কগুলো অনেকটা ফাঁকা থাকলেও এখন আর সে অবস্থা নেই। মঙ্গলবার মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন সড়কে রিকশা, ব্যক্তিগত গাড়িসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল বেড়েছে। এমনকি সকাল থেকে কোথাও কোথাও যানজটও দেখা গেছে। রাজধানীর বাড্ডা, আগারগাঁও, বছিলা, মোহাম্মদপুর, আসাদগেট, ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজারের সড়কগুলোতে যানবাহনের পাশাপাশি মানুষের ভিড়ও দেখা গেছে। রাজধানীর কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মঙ্গলবার অন্যদিনের তুলনায় সড়কগুলোতে মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে। গত পাঁচদিন সড়কে মানুষের সংখ্যা কম ছিল। গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক সিগনালগুলোতে যানজটও দেখা গেছে। তবে চেকপোস্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়াকড়ি ছিল চোখে পড়ার মতো। সকালে যাত্রাবাড়ী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, রিকশা আর ভ্যানে করে কর্মজীবী মানুষ নিজের গন্তব্যে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারী। লকডাউনের শর্ত অনুযায়ী এসব কর্মীদের জন্য প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব যানবাহনের ব্যবস্থা করার কথা থাকলেও কেউ তা করেনি। ফলে রিকশা বা হেঁটেই গন্তব্যে যাচ্ছেন তারা। এদিকে আবার স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ বা তিনগুণ রিকশা ভাড়াও গুনতে হচ্ছে অনেক যাত্রীকে। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ট্রাফিকের মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার এসএম বজলুর রশিদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মতিঝিল এলাকায় ব্যাংক-বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাই অফিস সময়ের শুরুতে এ এলাকায় গাড়ির অল্প চাপ ছিল। তবে এখন আর তেমন চাপ নেই। তিনি এও বলেন, আমরা তল্লাশি করছি। কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়া বের হলে চালক ও গাড়ির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এদিকে একই চিত্র বাসাবো ও মানিকনগর এলাকায়ও। এখানকার অধিকাংশ কর্মজীবী মানুষ মতিঝিলের বিভিন্ন অফিসে চাকরি করেন। এসব এলাকায় রিকশা ও ভ্যানের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়িও দেখা গেছে। সকাল থেকে নগরীর ফকিরাপুল, রাজারবাগ, মালিবাগ চৌধুরী পাড়া, বাড্ডা, দৈনিক বাংলা, বাংলা মোটর, মগবাজারসহ বিভিন্ন এলাকাতেও এমন চিত্র দেখা গেছে। রাজধানীবাসীর এমন অসচেতনতা করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তোলার শঙ্কা জাগাচ্ছে।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply