ঢাকা অফিস ॥ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার জঙ্গি গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। র্যাব ডিজি বলেন, র্যাবের কাছে ১৬ জন জঙ্গি স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছে। তাদেরকে ডি-রেডিক্যালাইজেশনের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও জঙ্গিরা আত্মসমর্পণ করতে চাইলে তাদেরকেও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দপ্তরে সম্প্রতি দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত আড়াই হাজার এবং শুধুমাত্র হলি আর্টিজান হামলার পরে দেড় হাজার জঙ্গি গ্রেপ্তার করেছে। র্যাবের জঙ্গি-বিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। এদিকে দেশে সক্রিয় জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর হলি আর্টিজানের মতো বড় ধরনের আক্রমণাত্মক কোনো হামলার ঘটনা ঘটানোর সামর্থ্য নেই জানিয়ে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমরা যেভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছি, এতে জঙ্গিবাদের স্থান বাংলাদেশে হবে না। তাদের থেকে আমরা একধাপ এগিয়ে আছি। এই মুহূর্তে আমাদের গোয়েন্দা তথ্যমতে, জঙ্গিদের আক্রমণাত্মক হওয়ার সামর্থ্য নেই। ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে নয়জন হামলাকারী ঢাকার গুলশান এলাকায় অবস্থিত হলি আর্টিজান বেকারিতে গুলিবর্ষণ করে। হামলাকারীরা বোমা নিক্ষেপ ও কয়েক ডজন মানুষকে জিম্মি করে। পুলিশের সঙ্গে তাদের গুলি ও বোমাবর্ষণের ঘটনায় চার পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়। র্যাব ডিজি বলেন, কিশোর অপরাধ রুখতে র্যাব কাজ করছে। কিশোর গ্যাং, মাদক ও সন্ত্রাসের সঙ্গে আমাদের সন্তানেরা যাতে জড়িত না হয়, সেদিকে আমরা সবাই খেয়াল রাখব এবং সকলে মিলে একযোগে কাজ করব। মাদক ইস্যুতে তিনি বলেন, সম্প্রতি আমরা অপ্রচলিত কিছু মাদক দেখতে পাচ্ছি। তাদেরকে গ্রেপ্তার করছি। এরইমধ্যে ৪৬ হাজারের বেশি মাদক-কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। র্যাব ডিজি আরও বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে কিছু নাশকতার পরিকল্পনা হয়েছিল। আবার রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমও হয়েছে। আমরা তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছি। এসময় তিনি হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, যারা এ ধরনের কার্যক্রম করবে, তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply