দৌলতপুর প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দেড় বছরের শিশু আরাফাত হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে ঘাতক কোহিনুর। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের পর কুষ্টিয়া ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে শিশু আরাফাত হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী সে। জবানবন্দীতে কোহিনুর জানায়, শিশু আরাফাত ঘটনার দিন সকালে তার মা’র কাছে ভাত খেতে খেতে দৌড়ে পার্শ্ববতী কোহিনুরের বাড়িতে যায়। এসময় কোহিনুরের ঘরে রাখা ভাত ভর্তি ডাবরে প্রস্রাব করে দেয় শিশু আরাফাত। শিশু আরাফাতের এমন কান্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে কোহিনুর তাকে জোরে ধাক্কা দিলে ঘরে থাকা যাঁতার খিলের ওপর পড়ে যাঁতার খিল গলায় বিদ্ধ হয়ে আরাফাত মারা যায়। এমন ঘটনায় কোহিনুর হতবাক হয়ে তড়িঘড়ি করে শিশুর লাশ বস্তায় ভরে খড়ির ভেতর লুকিয়ে রাখে। পরে রান্নাঘরের চুলার নিকট খুড়ে শিশুর লাশ পুঁতে রাখার সময় এলকাবাসী জানতে পারলে ঘটনা ফাঁশ হয়ে যায় এবং ঘাতক কোহিনুরকে আটক করে পুলিশে দেয়।
কোহিনুরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীর বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি (তদন্ত) শাহাদত হোসেন জানান, শিশু আরাফাত হত্যার দায় স্বীকার করে কোহিনুর আদালতে ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। জবানবন্দী শেষে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যার ঘটনায় নিহত শিশু আরাফাতের পিতা শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে কোহিনুর সহ দু’জনকে আসামী করে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। উল্লেখ্য, নিখোঁজের ৩দিন পর প্রতিবেশী কোহিনুরের রান্না ঘর থেকে দেড় বছরের শিশুর আরাফাতের লাশ উদ্ধার হয়। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের দাড়েপাড়া গ্রামের ছপের মালের রান্না ঘর থেকে ওই শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শিশু আরাফাত একই গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে। গত শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল। এ ঘটনায় ছপের মালের স্ত্রী গৃহিনী কোহিনুর (৫২) কে এলাকাবাসীর সহায়তায় গ্রেফতার করে দৌলতপুর থানা পুলিশ। তবে ঘাতক কোহিনুরের স্বামী ছপের মাল পালিয়ে যায়।