নিজ সংবাদ ॥ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা কোনো সাংবিধানিক ব্যবস্থা নয়। এটা কোনো গণতান্ত্রিক পদ্ধতির অংশও নয়। বিএনপির মত অগতান্ত্রিক দল ক্ষমতা হস্তান্তরে অনীহা প্রকাশ করার কারণেই কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আনতে হয়েছিল। গতকাল শনিবার ৩০ এপ্রিল সকাল ১০টায় কুষ্টিয়া ডিসি কোর্টে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কার্যালয়ে জেলা প্রশাসনের ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। হানিফ বলেন, ৯৬ সালের ১৫ ফেব্র“য়ারি বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তথাকথিত একদলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা আকড়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। তখন জনগণের তীব্র আন্দোলনের মুখে সরকার পতন হয়েছিল। সেই সময় সব দলের আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগের এই সিনিয়র নেতা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখায় সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ ছিল পরপর তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন এ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে। তারপর আমাদের সংবিধান সম্মত পদ্ধতিতে যাবে। তিনটি নির্বাচন হয়েছে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেতৃত্বে। নির্বাচনের পরই পরাজিত দলগুলো নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে, অভিযুক্ত করেছে। অতএব তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলেই যে নির্বাচন অভিযোগমুক্ত ছিল তা নয়। আওয়ামী লীগের কাউন্সিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবারও যথাসময়ে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল হবে। এতে দল আরো শক্তিশালী হবে, আরো উজ্জীবিত ও গতিশীল হবে। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ এবারও সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ী হবে। হানিফ বলেন, উন্নয়ন অগ্রগতি ও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের ফলে দেশের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ মানুষ শেখ হাসিনার পক্ষে রয়েছে। সুতরাং এই দলের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামের হুমকি দিয়ে কোনো লাভ হবে না। আর আন্দোলনের নামে কোনো নাশকতা হলে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
Leave a Reply