লাভলু খান ॥ চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার উপজেলার ভাংবাড়ীয়ায় তাসের আসরে পুলিশের অভিযান আটক ২ জনকে মুচলেকায় মুক্ত নদীতে ঝাপ দিয়ে সবজি ব্যবসায়ী টোকন হোসেন নিখোজের ২৬ ঘন্টা পর আঠারোখাদা ঘাট থেকে মরাদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এ বিষয়ে ভাংবাড়ীয়া গ্রামে ওদুছদ্দিনের বড় ছেলে শাহজান আলী বলেন আমার ভাই টোকন হোসেন মৃত্যুর জন্য ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়নে ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য আসমতুল্লাহ মোল্লা সুজন দায়ী। গত পরশু বুধবার দুপুরে আমাদের বাড়ির পাশে বাঁশ বাগানের ভিতরে বসে গ্রামে আব্দুর রহমানের ছেলে আকছেদ আলী, ইয়াদুল হকের ছেলে কবিরুল, সুন্নত আলীর ছেলে নাজিমুদ্দিন ও আমার ভাই টোকন হোসেন মিলে তাস খেলছিলো এ সময়ে সুজন মেম্বার হাটবোয়ালিয়া পুলিশ ক্যাম্পে ফোন করে ক্যাম্পে টুআইসি সহ দুজন কনস্টেবল ঘটনাস্থলে এসে তাদের দুজনকে আটক করে মুচলেকায় মুক্তি দেয়। এবং আমার ভাই ও নাজিম উদ্দীন মাথাভাঙ্গা নদীতে ঝাপ মারে নাজিম উদ্দিন সাতার দিয়ে পাড় হয়ে গেলেও আমার ভাই টোকন হোসেন পানিতে ডুবে যায়। পরে সুজন মেম্বার চার জনের কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা নেয় পুলিশের হাত থেকে তাদের রক্ষা করার জন্য। এর আগেও সুজন মেম্বার আমার ভাইকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিয়ে মিটানোর কথা বলে আট হাজার টাকা নিয়েছিলো। আমরা নদীতে নেমে খোজাখুজি করি অতপর আমার ভাইকে না পেয়ে আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসে ষ্টেসন আমরা বিষয়টি জানালে ততখানিক আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ষ্টেসন থেকে তারা আসে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ষ্টেসন লিডার আবুল হাসান মোল্লা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলে আমাদের ডুবুরি দল না থাকায় আমরা আগামীকাল বৃহস্পতিবার খুলনা থেকে ডুবুরি দল এসে উদ্ধার শুরু করব। ওদু ছদ্দিনের ছেলে আকালী হোসেন বলে টোকন হোসেন সাতার জানতো না সে পুলিশের ধাওয়ায় নদীতে ঝাপ মেরে তলিয়ে গেছে আমরা অনেক খোজাখুজির করে তার সন্ধান না পেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার খুলনা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে ভাংবাড়ীয়া ফেরি ঘাট থেকে অভিযান শুরু করে ৮ কি.মি. দূরে আঠারোখাদা ঘাটে গিয়ে টোকন হোসেনের মরাদেহ ২৬ ঘন্টা পর উদ্ধার করেছে। আকালী হোসেন আরও বলে সুজন মেম্বার আমাদের এলাকাতে কোন নাবালিকার বিয়ে হলে সে নিজে দাড়িয়ে থেকে সে নিজে দাড়িয়ে থেকে বিবাহ দিয়ে দেয়, পরে পুলিশ নিয়ে এনে হয়রানি করে ঐ পরিবারকে এবং মোল্লা কাজিসহ সকলকে ঐ বিবাহের জন্য পুলিশ ও মামলার ভয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়। গ্রাম্য একাধিক সুত্রে জানাগেছে আসমতুল্লাহ মোল্লা সুজন সুজন মেম্বার ভাংবাড়ীয়া গ্রামে ভয়ভিতী দেখিয়ে প্রতিমাসে হাতিয়ে নিয়ে থাকে এবং ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাতৃত্বকালীন বয়স্ক ভাতা বিধাব ভাতার কার্ড বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। সুজন মেম্বার দালালি করার জন্য পুলিশ নিয়ে এসে তাস খেলার সময়ে তাদের ধরে আবার কৌশলে ছেড়ে নিয়েছে সেখান থেকে ৮ হাজার টাকা নিয়ে ভাগাভাগি করেবে। ঋাংবাড়িয়া ইউপি ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য আসতুল্লাহ মোল্লা সুজন বলেন আমার ওয়ার্ডের ওদু ছদ্দীনের ছেলে টোকন হোসেন বাশবাগানের ভিতর বলে খেলা খেলার সময়ে হাটবোয়ালিয়া পুলিশ ক্যাম্প থেকে পুলিশ সদস্যরা এসে তাদের ২ জন কে আটক করে পরে মুচলেকায় আমার কাছে মুক্ত করে দিয়েছে এবং নাজিম উদ্দীন ও টোকন হোসেন পানিতে ঝাপ মারে নাজিম উদ্দীন সাতার কেটে পারা হয়ে যায় আর টোকন হোসেন নদীর পানির ভিতর তলিয়ে যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ৫ টার দিকে মরহুমে জানাজা নামাজ শেষ গ্রাম্য কবর স্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী এক ছেলে এক মেয়ে সহ অসংখ্যা গুনগ্রাহী রেখে যায়। ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান বলেন, টোকন সহ চারজন মিলে বাঁশবাগানের নিচে বসে জোয়া খেলা খেলছিলো গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্য উপস্থিত হয়ে ২ জনকে আটক করে তাদের কাছে জোয়া খেলার সারঞ্জম না পেয়ে ২জনকে মুচলেকায় মুক্তি দিয়েছে ২ জন নদীতে ঝাপ মারে নাজিম উদ্দিন নামের এক ব্যাক্তি নদীর সাতার দিয়ে পার হয়ে যায়। এবং টোকন হোসেন নামক এক ব্যক্তি সাতার না জানায় পানিতে ডুবে যায়। ফায়ার সার্ভিসে ডুবুরি দল টোকন হোসেনের মরা দেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে মরাদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply