1. andolonerbazar@gmail.com : AndolonerBazar :

ঈদের পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা, শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য

  • সর্বশেষ আপডেট : সোমবার, ২১ জুন, ২০২১

নিজ সংবাদ ॥ কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিভিন্ন বিভাগে অনার্স, মাস্টার্স ও আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো ঈদুল আজহার ছুটির পর গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গত শনিবার অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২০তম একাডেমিক কাউন্সিল সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে আবাসিক হলগুলো বন্ধ রেখে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে জানিয়েছেন বিশ^বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মু. আতাউর রহমান। বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ থেকে সশরীরে পরীক্ষা গ্রহণের পক্ষে সুপারিশ করার পর বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে একাডেমিক কমিটির এ সভা হয়। রেজিস্ট্রার জানান অগ্রাধিকারভিত্তিতে বিভাগগুলো পরীক্ষা গ্রহণ করতে পরবে। এক্ষেত্রে বিভাগগুলোকে শিক্ষাবর্ষের ধারাবাহিকতা অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। তবে পরীক্ষাগুলো অনলাইনে নাকি সশরীরে গ্রহণ করা হবে এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগ একাডেমিক বিভাগীয় সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি আইটি সেল খোলা হবে। কোনো বিভাগ অনলাইনের পরীক্ষা গ্রহণ করতে চাইলে আইটি সেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরীক্ষা গ্রহণ সম্পন্ন করবে। তিনি জানান ঈদের পরের সপ্তাহ থেকে সব বিভাগের পরীক্ষা কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। রেজিস্ট্রার জানান তবে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার উপর গুরুত্ব দেয়া যেতে পারে। করোনার চলমান পরিস্থিতির কারনে জন্য দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বন্ধ থাকার কারনে বিশ^বিদ্যালয় গুলোতে বড় ধরনের সেশন জট তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গত ২৮ মে পরীক্ষা সশরীরে ও অনলাইনে গ্রহণের নির্দেশনা দেয় ইউজিসি। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সশরীরে পরীক্ষা গ্রহণ শুরু করেছে। ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান। এটি সঠিক সিদ্ধান্ত। তারা বলেন শিক্ষার্থীরা সীমাহীন হতাশায় ভুগছে। পরীক্ষার সিদ্ধান্ত তাদের জন্য একটু হলেও আশার সনচার করতে পারে। ইসলামে ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ও বিশ^বিদালয়ের প্রক্টর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন সিনিয়র শিক্ষকদের মতামতের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরাও তাদের সাথে যোগাযোগ করছিল ও পরীক্ষার দাবি জানিয়ে আসছিল। বিশ^বিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলামগীর হোসেন ভূঁইয়া জানান একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সবার মতামতের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত এসেছে। তিনি আশা করেন সবার সহযোগীতায় এ সিদ্ধান্ত ভাল ফলাফল নিয়ে আসবে।  বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.  শেখ আব্দুস সালাম জানান বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সাধারণ ছাত্রসমাজের স্বার্থটাই আগে প্রাধান্য পাবে। চলমান পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ যেহেতু কারো হাতে নেই তাই কোন ঝুঁকি নেয়া যাবে না। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোন রকম অসুবিধা হতে পারে সেসব দিকগুলো নানাভাবে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সবার সহযোগীতা পাবেন। এদিকে পরীক্ষা গ্রহনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একাধিক বিভাগের যোগাযোগ সম্ভব হয়েছে এমন শিক্ষার্থীরা জানান এটি বিশ^বিদ্যালয়ের সঠিক সিদ্ধান্ত। তবে অনেক শিক্ষার্থী দুরদুরান্ত থেকে এসে হল সুবিধা না পেয়ে কিভাবে পরীক্ষায় অংশ নেবে এ বিষয়টি বুঝতে পারছে না।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর
© All rights reserved ©2021  Daily Andoloner Bazar
Site Customized By NewsTech.Com