ঢাকা অফিস ॥ করোনা মহামারির কারণে দূরপালল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও এবারের ঈদুল ফিতরের-যাতায়াতে সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে। গত ১৪ মে ঈদুল ফিতরের দিনসহ ৬ মে থেকে ১৭ মে পর্যন্ত মোট ১২ দিনে সড়ক, মহাসড়ক ও পল্লী এলাকাসহ সারাদেশে ২০৭টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। ওই সব দুর্ঘটনায় ২৪৯ জন নিহত ও ৩৮৫ জন আহত হয়েছেন। পরিবেশ ও নাগরিক অধিকার বিষয়ক দুটি সামাজিক সংগঠন গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশ (জিসিবি) এবং নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির এক যৌথ প্রতিবেদনে গত মঙ্গলবার এমন পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়। তারা জানান, দেশের ১৫টি জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক এবং আটটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সংবাদ সংস্থায় প্রকাশিত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে যৌথভাবে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৩৫ নারী, ২৯ শিশু, ২৩ পথচারী এবং চালকসহ ২৭ জন পরিবহন শ্রমিক রয়েছেন। দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা সরবশেষ ঈদের (গত বছরের ঈদুল আজহা) ছুটির চেয়ে বেশি বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, ২০২০ সালে ঈদুল আজহার দিনসহ আগে ও পরে ১২ দিনে সারা দেশে ১৮৭টি দুর্ঘটনা ঘটে; যেখানে ২২৯ নিহত ও ৩১৮ জন আহত হন। এ সময় সরবোচ্চ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে ৯৮টি; যেখানে মৃত্যু হয়েছে ১০৭ জনের। এ সময়ের মধ্যে মহাসড়কে ৩৩ দশমিক ৫, অভ্যন্তরীণ সড়কে ৩৬, গ্রামীণ সড়কে ১৮ দশমিক ৫ এবং শহর এলাকার সড়কে ১২ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে। সংগঠন দুটির যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দূরপাল্লার বাস, যাত্রীবাহী অভ্যন্তরীণ নৌযান এবং ট্রেন চলাচলের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে এবারের ঈদে সড়ক, মহাসড়ক ও গ্রামাঞ্চলের সড়কগুলোতে বিপুলসংখ্যক প্রাইভেটকার ও অন্যান্য ছোট যানবাহন চলাচল করেছে। এগুলোর ওপর কার্যত সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কড়া নজরদারি ও তদারকি ছিল না। সুতরাং দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য এসব যানবাহন অনেকাংশে দায়ী।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply