ঢাকা অফিস ॥ মহামারীকালে নতুন অর্থবছরের জন্য রেকর্ড ঘাটতি রেখে বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। মোট বাজেটের মধ্যে ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা তিনি রাজস্ব খাত থেকে যোগান দেয়ার পরিকল্পনা সাজিয়েছেন, যা বাস্তবায়ন করা হবে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে উন্নয়নশীল দেশে ঘাটতি বাজেট হতেই পারে, এটি নতুন নয়, বলে মনে করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। শুক্রবার দুপুরে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘ঘাটতি বাজেট নতুন নয়, আমরা উন্নয়নশীল দেশ, ঘাটতি বাজেট হবে। তবে সংশয় আছে ঘাটতির পরিমাণ নিয়ে। তবে আমি কনফিডেন্ট, অর্থমন্ত্রী এটিকে মোকাবিলা করতে পারবেন। আমরা একটি অনুমানের জগতে আছি। সেটাকে নিয়ে তর্ক করে কোনো লাভ হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘অর্থের জোগান দেয়া অন্যতম একটি বিষয়। যারা বাইরে থেকে আমাদের ধার দেবে, তাদের বাজার বেশ ভালো। বিদেশ থেকে যারা ধার দেয় তাদের কথাবার্তা ও আচরণে সেটি আমরা দেখেছি। আমাদের রেকর্ডও ভালো। আমরা সে ধরনের গ্রাহক নই। কোনো সময় আমরা এগুলো মিস করিনি। আমরা সবকিছু পজিটিভলি করেছি বলেই পজিটিভলি গ্রোথ ধরে রাখতে পেরেছি। মাথাপিছু আয় করোনার মধ্যেও আমাদের ২৩০০ ডলারের কাছাকাছি।’ এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ জুন) করোনা মহামারীর প্রকোপের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদে তৃতীয়বারের মতো বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। করোনাকে অগ্রাধিকার দিয়ে মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষায় ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন তিনি। এবারের বাজেটে প্রাধিকার পেয়েছে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। ‘জীবন-জীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে সুদৃঢ় আগামীর পথে বাংলাদেশ’ শিরোনামের এবারের বাজেটটি করা হয়েছে সরকারের অতীতের অর্জন এবং বর্তমান পরিস্থিতির সমন্বয়ে। বাজেটে সঙ্গত কারণেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য খাতে। পাশাপাশি কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজসমূহের বাস্তবায়ন, কৃষিখাত, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনাকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। অর্থবছরের পুরো সময় জুড়েই থাকবে সরকারের নানা ধরনের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি, বাড়ানো হবে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply