1. andolonerbazar@gmail.com : AndolonerBazar :

এক সপ্তাহে বেড়েছে তেল-পেঁয়াজ, চাল-ডালের দাম

  • সর্বশেষ আপডেট : শুক্রবার, ৪ জুন, ২০২১

ঢাকা অফিস ॥ রাজধানীর বাজারে এখন সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের দাম। এ ছাড়া চাল, আটা, ময়দা, রসুন ও ডালের দাম গত এক সপ্তাহে বেড়ে গেছে। এর বাইরেও কিছু পণ্যের দাম এখনো বেশ চড়া। গরুর মাংস ৬০০ টাকা কেজির নিচে কেনা যাচ্ছে না। ব্রয়লার মুরগির দাম নাগালের মধ্যে হলেও দেশি মুরগির দাম বেশি। এ ছাড়া বেড়ে রয়েছে গুঁড়োদুধের দাম। এমন অবস্থায় নিত্যদিনের খাবারের চাহিদা মেটাতে চাপে আছে সীমিত আয়ের মানুষ। করোনাভাইরাসের কারণে অনেকের আয় কমে গেছে। ফলে এ বিষয়ে সরকারের দায়িত্বশীল আচরণ কামনা করছেন অনেকে। শান্তিনগর বাজারে ইলিয়াস হোসেন নামের একজন ক্রেতা বলেন, করোনার মধ্যে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দাম কমাতে সরকারের পদক্ষেপ নেয়া উচিত। বাজার মনিটরিং জোরদার করা উচিত ছিল। সেটা হয়নি। বরং আমাদের অল্প টাকা মধ্যে থেকে বড় অংশ বাজারে লুট হচ্ছে। পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। এদিকে বাজেটের পরপরই এর কোনো প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি বাজারে। বাজেটে মুড়িসহ কয়েকটি পণ্যের দাম কমার ঘোষণা থাকলেও, তার প্রভাব এই অল্প সময়ের মধ্যে পড়েনি। খিলগাঁও বাজারের দোকানি শফিকুর রহমান বলেন, বাজেটে কোনো কিছুর দাম কমলে সেটা পাইকারি বাজার থেকে আনার পরে কমে বিক্রি হবে। অর্থাৎ, কমলেও সেটা তিন থেকে চারদিন পর কার্যকর হবে। যদিও রাজধানীর বাজারগুলোতে আটা, ময়দা, মসুর ডাল ও সিগারেটের মতো কিছু পণ্যের দাম বাজেটের প্রভাবে দুই-তিনদিন আগে বেড়েছে। সেগুলোর দাম এখনো চড়া। ইয়াকুব আলী আজম নামের এক ক্রেতা বলেন, আমাদের দেশে কোনো কিছুর দাম বাড়লে সেটা সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হয়। কিন্তু কমলে সেটা কার্যকর করতে গড়িমসি করেন ব্যবসায়ীরা। এটা রীতি হয়ে গেছে। এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, চিকন, মাঝারি ও মোটা সব ধরনের চালের দাম গত তিন দিনের ব্যবধানে কেজিতে আরও ১ থেকে ২ টাকা বেড়ে গেছে। দাম বেড়ে চিকন চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৬ টাকায়, যা দুই দিন আগেও ৬০ থেকে ৬৪ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছিল। গরিবের মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়, যা আগে ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। কারওয়ান বাজারের চাল বিক্রেতা সফিকুল ইসলাম বলেন, বোরো নতুন চাল বাজারে আসার পরেও চালের বাজার স্থিতিশীল হচ্ছে না। নতুন চালের দাম কিছুটা কম হলেও পুরনো চালের দাম বেশি। ধানের দাম বেশি বলে চালের দাম কমছে না। এদিকে চালের পাশাপাশি দাম বেড়েছে আটা ও ময়দার দাম। ৩২ থেকে ৩৪ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া এক প্যাকেট আটার দাম বেড়ে এখন ৩৪ থেকে ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্যাকেট ময়দার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৬ টাকায়, যা আগে ছিল ৪২ থেকে ৪৪ টাকার মধ্যে। চাল ও আটার সঙ্গে ক্রেতাদের বাড়তি অর্থ গুণতে হচ্ছে সয়াবিন ও পাম তেলের জন্য। লুজ সয়াবিন তেলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, যা গত গতকাল শুক্রবার ছিল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকার মধ্যে। আর পাম সুপার বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়, যা আগে ১১৫ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছিল। অন্যদিকে পেঁয়াজের দাম দুই দফায় কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। গত গতকাল শুক্রবার ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এর সঙ্গে বেড়েছে রসুনের দাম। আমদানি করা রসুনের দাম বেড়ে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, যা গত গতকাল শুক্রবার ১২০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে ছিল। একইভাবে বাজারে মসুর ডালের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর
© All rights reserved ©2021  Daily Andoloner Bazar
Site Customized By NewsTech.Com