নিজ সংবাদ ॥ জামাত বিএনপি’র আগুন সন্ত্রাস ও নাশকতার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া জেলা যুবলীগের আয়োজনে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল ৪ টায় কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজ প্রঙ্গনে এই শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কুষ্টিয়া সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবু তৈয়ব বাদশা’র সঞ্চালনায় এবং জেলা যুবলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া – ৩, সদর আসনের এমপি মাহাবুব উল আলম হানিফ। উক্ত শান্তি সামাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য প্রদান করেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কুষ্টিয়া – ৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসানের সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার সেলিম আলতাফ জর্জ। এছাড়াও শান্তি সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, কুষ্টিয়া – ১ (দৌলতপুর) আসনের সংসদ সদস্য আ.ক.ম সরোয়ার জাহান বাদশা, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সদর উদ্দিন খান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলী এবং কুষ্টিয়া সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা। শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম স্বপন এবং সদর থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি রবিউল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের জোষ্ঠ্য সহ সভাপতি জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ডাঃ আমিনুল হক রতন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী, জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মতিয়ার রহমান মজনু জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শেখ হাসান মেহেদী, জেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোনিনুর রহমান মোমেজ, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি তাইজাল আলী খান, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, সদর আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট আ স ম আক্তারুজ্জামান মাসুম, জেলা মহিলালীগের সভাপতি জেবুন নিসা সবুজ, জলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রুহুল আজম, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুল হক পুলক, জেলা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার ইকবাল মাহমুদ, জেলা শ্রমিকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুল ইসলাম অনিক এবং জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ,। এদিকে শান্তি সমাবেশ উপলক্ষে কুষ্টিয়ার ছয়টি উপজেলা থেকে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের হাজার হাজার নেতা কর্মিদের উপস্থিতিতে শান্তি সমাবেশ স্থল জন সমুদ্রে পরিণত হয়। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে সমাবেশ স্থল। বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মিদের উপস্থিতির কারণে ইসলামিয়া কলেজ মাঠে জায়গা সংকুলান না হাওয়ায় অনেক নেতা কর্মিদের এনএস রোডে অবস্থান করতে দেখা যায়। শািন্ত সমাবেশে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলী বলেন, দেশকে স্বাধীন করতে গিয়ে ত্রিশ লক্ষ মানুষ শহীদ হয়েছে এবং তিন লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমহানী হয়েছে, তাদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। জাতীয় চার নেতাকে শ্রদ্ধভরে স্মরণ করি। আজগর আলী উপস্থিত যুবলীগ নেতাদের উদ্দেশ্য অন্যায়ের বিরুদ্ধে, ষড়যন্ত্রে বিরুদ্ধে এবং নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভাবে মোকাবেলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা এবং মাহাবুব উল আলম হানিফের হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।
উপস্থিত নেতা কর্মিদের উদ্দেশ্যে আজগর আলী বলেন, আজকে যারা ষড়যন্ত্রে আছে, সেই বিএনপি জামাত আজকে কোন জায়গায় গেছে ? কোথায় ব্যবসা করছে ? তাদের আমলে তো আমরা ব্যবসা করতে পারি নাই। সেটার আমি প্রমাণ। আজকে তারা আমাদের সরকারের মধ্যে ঢুকে, আমাদের মধ্যে ঢুকে ব্যবসা করে মোটা হচ্ছে। সেই দিকে লক্ষ রাখতে হবে। উপস্থিত যুব সমাজের উদ্দেশ্যে আজগর আলী বলেন, তোমরা রেডি হও, সংগঠন সাংগাঠনিক ভাবে করতে হবে। শািন্ত সমাবেশে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সদর উদ্দিন খান বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করার জন্য টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত যে নেতা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, সেই নেতা মাহাবুব উল আলম হানিফ এমপি মহোদয়। সদর উদ্দিন খান আরো বলেন, আজকে এই ঐতিহাসিক সমাবেশ প্রমাণ করে বাংলাদেশ যুবলীগের কুষ্টিয়া ইউনিট অত্যন্ত সুসংগঠিত এবং সংগঠিত। যার প্রমাণ তারা ইতিমধ্যে বিভিন্ন উপজেলাতে শান্তি সমাবেশ করেছে। সদর উদ্দিন খান বলেন, বিএনপি জামাত যে হুঙ্কার দিচ্ছে ঢাকা থেকে, সেই তুলনায় কুষ্টিয়ার চারটি আসন আমরা মনে করি, বিশ^াস করি মাহাবুব উল আলম হানিফের নেতৃত্বে এই চারটি আসনই বিগত দিনের ন্যায় এবারেও আমরা শেখ হাসিনা’কে উপহার দিবো, এই শপথ আজকে আমাদের নিতে হবে। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ, আমরা বিশ^াস করি, সবার মধ্যে একটা সচেতনতা আছে। সবার মধ্যে উৎসাহ আছে। সবার মধ্যে উদ্দীপনা আছে। নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে সবাই একে একে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। কারণ ঐ বিএনপি জামাত পরাশক্তি ৭১ যারা পরাজিত ছিলো, এখনো যারা বিরোধিতা করে আসছে, তারা যদি এই রাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসে তাহলে আওয়ামীলীগ তথা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে শেষ করে দিবে। যারা বাংলাদেশকে বিশ^াস করে না, যারা বাংলাদেশের পতাকা বিশ^াস করে না, তারা ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখে। আওয়ামীলীগের একটি কর্মিও বেঁচে থাকতে কোন অবস্থায় তাদের ক্ষমতায় আসার সুযোগ নাই। মাহাবুব উল আলম হানিফের নেতৃত্বে তারা সেই সুযোগ আর কোন দিনও পাবে না। তার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে কুষ্টিয়ার সব আসন গুলোতে আমরা জয়লাভ করবো। শািন্ত সমাবেশে সংসদ সদস্য আ.ক.ম সরোয়ার জাহান বাদশা বলেন, যুব সমাজের এই সমাবেশ থেকে আজকে শপথ নিতে হবে, এই স্বাধীনতা আমাদের রক্ষা করতে হবে। সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নতৃত্বে দেশ গড়ার যে সংগ্রাম চলছে, উন্নয়নের মাহাসড়কে বাংলাদেশ যে ধাবিত হচ্ছে, গণতন্ত্র এবং সংবিধানের বিধান মোতাবেক দেশ পরিচালিত হচ্ছে, সেই ধারা আমাদের অব্যহত রাখতে হবে। ১৯৭১ সালের পরাজিত শত্রুরা, ঐ জামাত শিবির রাজাকার আলবদর আর সন্ত্রাসবাদের জননী বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া আর তার পলাতক পুত্র তারেক রহমানের নেতৃত্বে আজকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। আজকে তারা বাংলাদেশকে পিছনে ফিরিয়ে নিতে চায়। তারেক রহমান বলে টেক ব্যাক বাংলাদেশ। হোয়াট ইজ দ্যা মিনিং অব টেক ব্যাক বাংলাদেশ। টেক ব্যাক বাংলাদেশের অর্থ হলো উনারা আবার বাংলাদেশকে পাকিস্থানী ধারায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়। ওরা স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চায়। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে এই যুব সমাজ তার দাঁত ভাঙা জবাব দিবে, তাদের এই ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবে না। সরোয়ার জাহান বাদশা আরো বলেন, আমাদের নেতা মাহাবুব উল আলম হানিফের নেতৃত্বে সারা কুষ্টিয়ার যুব সমাজ খোকসা থেকে দৌলতপুর পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আমরা সকল ষড়যন্ত্রের দাঁত ভাঙা জবাব দেবো। প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য প্রদান কালে কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কুমারখালী-খোকসা আসানের সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার সেলিম আলতাফ জর্জ বলেন, বিএনপি এবং জামাত আগামী নির্বাচনকে উপলক্ষ করে তাদের যে রাজনৈতিক চিরচারিত রাজনৈতিক চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ আবার শুরু করেছে। বিভিন্ন ধরনের জ¦ালাও, পুড়াও, নাশকতার মধ্য দিয়ে জনজীবণ বিপর্যস্ত করে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষতায় আসার প্রক্রিয়া আবার তারা শুরু করে দিয়েছে। আওয়ামীলীগের সমস্ত অঙ্গ সংগঠন তাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দিয়ে তাদের সেই নৈরাজ্য ও নাশকাতা প্রতিহত করার অঙ্গিকার নিয়ে মাঠে আছে। সেলিম আলতাফ জর্জ আরো বলেন, বিএনপি জামাত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে দাবী নিয়ে রাস্তা ঘাটে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কথা বলে বেড়াচ্ছেন এই গুলো বাচ্চা ছেলে মানুষের বায়নার মতো। তারা আজকে বায়না ধরেছে। বায়না ধরে কোন কাজ হবে না। আগামী নির্বাচন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সংবিধান অনুযাযী অনুষ্ঠিত হবে। উপস্থিত নিতা কর্মিদের উদ্দেশ্যে সেলিম আলতাফ জর্জ বলেন, আপনারা আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করেন এবং গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে অব্যহত রাখার জন্য আপনাদের যে রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করবেন বলে আমরা মনে করি। আর যদি আপনারা আপনাদের রাজনৈতিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন, তাহলে আপনাদের আর বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন সুযোগ থাকবে না। সেই কারনে সমস্ত ভ্রান্তি, সমস্ত ধরণের ষড়যন্ত্র, সব কিছু পরিহার করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে এই বাংলাদেশে উন্নয়নের ধারাকে অব্যহত রাখবেন। বিএনিপি এবং জামাত’কে উদ্দেশ্য করে সেলিম আলতাফ জর্জ আরো বলেন, আপনারা যদি বাংলাদেশে আবার কোন নাশকাতার চেষ্টা করেন, তাহলে আপনাদের দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে। আপনারা বাংলাদেশের অস্তিত্বকে স্বীকার করবেন না, আবার বাংলাদেশেই বসবাস করবেন। সেই সুযোগ আর বাঙালী আপনাদেরকে দিবে না। আবার যদি আপনারা আপনাদের পুরোনো চরিত্রে ফিরে যান এবং কুষ্টিয়াতে যদি আপনারা কোন ভাবে কোন জায়গায় নাশকতা কিংবা কোন কিছু করতে চান, এইবার আপনাদের পদ্মা নদীতে নিক্ষিপ্ত করা হবে এবং এই নিক্ষিপ্ত করার মধ্য দিয়ে আমরা কুষ্টিয়ার মাটিকে জঞ্জাল মুক্ত করে ছাড়বো। প্রধান অতিথি’র বক্তেব্যে মাহাবুব উল আলম হানিফ বলেন, ২০০১ সালে থকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি জামাত’র যে দুঃশাসন ছিলো, সেই দুঃশাসনের সময় এই আওয়ামী যুবলীগ শেখ হাসিনার নির্দেশে বেগম খালেদা জিয়া’র সরকারের বিরুদ্ধে তিব্র আন্দোলন গড়ে তুলেছিলো। সেই আন্দোলনে খালেদা জিয়া’র সরকারের দুঃশাসনের বাস্তব চিত্র উঠে এসেছিলো। সেই যুবলীগ আজকে আমাদের এতিহ্যবাহী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। এই যুবলীগের অতীতের গৌরব যেমন আছে, আমরা আশা করি আগামী দিনেও এই যুবলীগ তাদের ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করবে। উপস্থিত নেতা কর্মিদের উদ্দেশ্যে মাহাবুব উল আলম হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জন্ম গ্রহণ করেছিলেন বলেই আজকে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। এই মার্চ মাস জাতির জীবণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। বাংলাদেশে কিছু রাজনৈতিক দল যারা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলেন, যারা অনেকেই নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের দল হিসাবে দাবী করেন, তারা ৭ই মার্চ পালন করেন না। তারা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন করেন না। তারা স্বাধীনতা পালন করতে চান না। অথচ বঙ্গবন্ধুর এই ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষন পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ট ভাষন গুলোর মাঝে অন্যতম শেষ্ট ভাষন হিসাবে বিবেচিত। জাতীয় সংঘের ওর্য়াল্ড হেরিটেজে শ্রেষ্ট ভাষন হিসাবে লিপিবদ্ধ আছে। অথচ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে ৭ই মার্চের ভাষন স্থগিত করেছিলো। আপনারা দেখেছে গত পরশুদিন বিএনপি’র মির্জা ফকরুল বললেন আমরা এই বাংলাদেশ চাই নাই। মির্জা ফকরুল’কে উদ্দেশ্য করে মাহাবুব উল আলম হানিফ বলেন, আপনারা কোন বাংলাদেশ চেয়েছিলেন আমি সেইটা একটু জানতে চাই। আপনারা তো বাংলাদেশই চান নাই। যারা স্বাধীনতা বিরোধী তারা আবার কোন বাংলাদেশ চাইবে। আপনারা চেয়েছিলেন পাকিস্থানের অখন্ডতা রাখতে। পাকিস্থানের অখন্ডতা রাখতে আপনারা মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন। আপনারা পাকিস্থানের পক্ষে অন্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন। আর আজকে বলেন আমরা এই বাংলাদেশ চাই নাই। আপনারা এই বাংলাদেশ চাইবেন না, সেটা জানা কথা। মির্জা ফকরুল’কে উদ্দেশ্য করে মাহাবুব উল আলম হানিফ আরো বলেন, কোন বাংলাদেশকে আপনারা রেখে গিয়েছিলেন ? ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল আপনারা ক্ষমতায় ছিলেন। কি করেছিলেন সেই সময় ? কয়েকদিন আগে আপনারা বলেছেন, আপনারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে কি কি করবেন। আমি বলি আপনারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে কি কি করবেন সেই ফিরিস্তি না দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আপনার কি কি করেছিলেন, এই দেশের জন্য, দেশের জনগনের জন্য সেইটা একটু তুলে ধরেন। কোন ভালো কাজটা করেছিলেন ? একটু দয়া করে বলুন। দেশের মানুষ শুনুক। দেশের মানুষ দেখুক। কোন ভালো কাজটা করেছিলেন আপনারা ? আপনারা ক্ষমতায় থাকতে আপনাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর ঐদিকে হাওয়া ভবন বানিয়ে আপনাদের নেতা তারেক রহমান অঘোষিত প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। যত টেন্ডার বাণিজ্য, কমিশন বাণিজ্য হাওয়া ভবন থেকে নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে। এই বাংলাদেশকে সন্ত্রাসের চারণ ভূমি বানানো হয়েছিলো হাওয়া ভবন থেকে। এই হাওয়া ভবন থেকে পরিচালিত হয়েছিলো ২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা। শেখ হাসিনা সহ আওয়ামীলীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের হত্যা করে বাংলাদেশকে রাজনৈতিক ভাবে শূণ্য করে দেওয়ার চক্রান্ত করেছিলেন। ঠিক তেমনি ভাবে আপনার নেতা জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশকে রাজনৈতিক ভাবে শূন্য করার চেষ্টা করেছিলেন। উনার ছেলে তারেক রহমান বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা কালীন এই বাংলাদেশের রাজনীতিকে ধ্বংস করে দিয়ে গিয়েছিলেন। উনাদের দলের নায়ক হচ্ছেন তারেক রহমান। মাহাবুব উল আলম হানিফ আরো বলেন, আমি বহুবার বলেছি তারেক রহমান কোন রাজনৈতিক নেতা নয়। তারেক রহমান খালেদা জিয়া ও জিয়াউর রহমানের পুত্র হিসাবে দলের কর্তধর হয়েছেন। উনি রাজনীতি করে আসেন নাই। উনি রাজনীতি করেন নাই। উনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন উনি লুন্ঠন করেছেন। এই তারেক রহমানকে রাজনৈতিক নেতা হিসাবে দেশের মানুষ চিনে না। তাকে চেনে সন্ত্রাসীদের সেতা হিসাবে। তার নেতৃত্বে ঐ সময় আওয়ামীলীগের ২৬ হাজার নেতা কর্মিকে হত্যা করেছিলো। এই বিএনপি জামাত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকতে শেখ হাসিনা’কে হত্যার চেষ্টা করেছিলো। শাহ কিবরিয়া’কে হত্যা করেছিলো। টঙ্গীর আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করেছিলো। নাটরের এমপি মমতাজ উদ্দিনকে হত্যা করেছিলো। খুলানার মেয়রকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে। তারা দেশকে হত্যা সন্ত্রাসের দেশ হিসাবে বানিয়েছিলো। আর এখন মির্জা ফখরুল সাহেব বলে দুঃশাসন চলছে। এটা যদি দুঃশাসন হয় তাহলে আপনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন কি ছিলো ? আজকে বাংলাদেশকে অন্ধকারে তুলে দিয়েছেন আপনারা। দুঃশাসন দূর্ণীতির মাধ্যমে আপনারা একদিকে বাংলাদেশকে সন্ত্রাসের চারণ ভূমি বানিয়েছিলেন। আর এক দিকে আপনারা চরম দরিদ্র দেশ বানিয়েছিলেন। কত ডলার মাথাপিছু আয় রেখে গিয়েছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব। জাতির সামনে তুলে ধরুন। ৫৩৫ ডলার ছিলো আপনাদের সময় মাথাপিছু আয়। বাংলাদেশ ছিলো চরম দরিদ্র দেশ। আর আজকে এই ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে এই ৫৩৫ ডলার থেকে এখন আমরা ২৯০০ ডলারে পৌঁছে আমরা বাংলাদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত হয়েছি। বিশে^র অর্থনীতিবিদরা বলছেন যদি এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকে তাহলে ২০৩১ সাল নাগাদ আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছে যেতে পারবো এবং ২০৪১ এর মধ্যেই আমরা উন্নত বাংলাদেশের তালিকায় স্থান পাবো। যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে দেখিয়েছিলেন। এদেশের জনগন জানে আওয়ামীলীগের কোন বিকল্প নাই।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply