ঢাকা অফিস ॥ গলো বছরের মতো এবারও সৌদি আরবের বাইরে থেকে কাউকে হজ পালনের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। ফলে এবারও বাংলাদেশ থেকে কেউ হজে যেতে পারবেন না। শুধুমাত্র সৌদি নাগরিক ও দেশটিতে বসবাসরত ৬০ হাজার মানুষকে এবার হজে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেবে সৌদি আরব। শনিবার দেশটির হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয় এ তথ্য প্রকাশ করেছে। এদিকে সৌদি সরকারের ঘোষণা না থাকলেও হজের যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল ধর্ম বিষয় মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশের নিবন্ধিত হজ হজযাত্রীদের করোনার ভ্যাকসিন দিতে বলা হয়েছে মার্চ মাসেই। গত ১৫ মার্চ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় হজ নিয়ে একটি বৈঠক করে। বাংলাদেশে প্রায় ৬১ হাজার জন হজ পালনের জন্য টাকা জমা দিয়ে চূড়ান্ত নিবন্ধন করেন। সৌদি আরব ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের হজ অংশ নিতে দেবে- এই ঘোষণার ভিত্তিতে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ২০২০ সালে হজে যাওয়ার জন্য যারা নিবন্ধন করেছেন, তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন দিয়ে হজের জন্য প্রস্তুত করা হয়। বাংলাদেশ ৪০ বছরের নিচে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার সুযোগ না থাকায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয় ১৮ বছরের ওপর ও ৪০ বছরের নিচে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য।
মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন আরও ১৬ বীরাঙ্গনা
ঢাকা অফিস ॥ মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের হাতে নির্যাতিত আরও ১৬ বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছেন। এ বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে সম্প্রতি গেজেট জারি করেছে সরকার। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭৩তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বীরাঙ্গনারা এ স্বীকৃতি পেলেন। এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়া বীরাঙ্গনার সংখ্যা হল ৪১৬। নতুন করে সুনামগঞ্জের গুলবাহার বেগম, মাদারীপুরের অজুফা বেগম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আনোয়ারা বেগম ও রুমিয়া খাতুন, পিরোজপুরের বিল্ল বাসিনী ও শেফালী সিকদার, চট্টগ্রামের হোসনে আরা বেগম, নরসিংদীর জাহেরা খাতুন মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছেন মৌলভীবাজারের মইরম নেছা, হাজেরা বেগম ও প্রীতি রানী দত্ত; রংপুরের মোছা. ফাতেমা বেগম, মোছা. বেগনা বেগম ও মোছা. মালেকা বেগম। নোয়াখালীর শোভা পারভীন ও বাগেরহাটের সেতারা বেগমও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছেন।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply