ঢাকা অফিস ॥ প্রথমদিকে বিরোধিতা করলেও এখন ভাসানচরকে প্রশংসা করছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ভাসানচর পরিদর্শন শেষে গতকাল বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তারা এই প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন ভালো বলেও জানায় জাতিসংঘ। গতকাল বুধবার ঢাকায় ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) কার্যক্রম পরিচালনা বিষয়ক সহকারী হাইকমিশনার রাউফ মাজাও এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, কক্সবাজারের সঙ্গে তুলনা করলে ভাসানচর বেশ ভালো এবং সেখানে রোহিঙ্গারা যাতে সম্মানের সঙ্গে অবস্থান করতে পারে, সেটি নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসা উচিত। প্রসঙ্গত, গত রোববার মাজাও এবং জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার সুরক্ষা বিষয়ক সহকারী হাইকমিশনার গিলিয়ান ট্রিগস ঢাকায় আসেন। পরদিন সোমবার তারা ভাসানচর পরিদর্শনে যান। সেখানে তখন কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা তাদের সামনে বিভিন্ন দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেন। ভাসানচরের বিষয়ে কর্মকর্তাদের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে রাউফ বলেন, সেখানে সরকার বিনিয়োগ করেছে, যা গুরুত্বপূর্ণ। কক্সবাজারের জীবনযাত্রার সঙ্গে তুলনা করলে সেটি অনেক ভালো। তিনি আরও বলেন, তবে একটি দ্বীপে বাস করলে বিছিন্নতাবোধ কাজ করে। সে কারণে তাদের জন্য অর্থনৈতিক কার্যক্রমের ব্যবস্থা করতে হবে। রাউফ মাজাও বলেন, রোহিঙ্গারা যেন বসে না থাকে এবং ভাসানচর একটা সুযোগ, যা কাজে লাগাতে হবে। তবে চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে, তাদের ফেরত পাঠানো। জাতিসংঘ খুব শিগগিরই ভাসানচরে যুক্ত হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে মাজাও বলেন, এ বিষয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। আমরা সব সময় সরকারের সঙ্গে কাজ করি। কক্সবাজারসহ ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় থাকবো। পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেন, আমরা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা করেছি। চার বছর ধরে তারা বাংলাদেশে রয়েছে। তাদের মধ্যে হতাশা কাজ করছে। এর প্রতিফলন দেখা গেছে, যখন তারা বিক্ষোভ করেছে। মন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের (জাতিসংঘ প্রতিনিধি) বলেছি, রাখাইনে জোর দেন এবং সেখানে বিভিন্ন প্রকল্প রোহিঙ্গাদের দেখান, যাতে তারা ফেরত যেতে উৎসাহিত হয়। মিয়ানমারের মিলিটারির সঙ্গে আলোচনার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, এখন মিয়ানমার সরকার কথা শুনবে এবং ফেরত যাওয়ার একটি পথ তৈরি হবে।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply