1. andolonerbazar@gmail.com : AndolonerBazar :
মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ০৩:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

করোনায় বিশ্বে মৃত্যু ৪০ লাখ ছাড়াল

  • সর্বশেষ আপডেট : শুক্রবার, ১৮ জুন, ২০২১
  • ৯৩ মোট ভিউ

ঢাকা অফিস ॥ দেশে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে জনগণকে রক্ষায় টিকার জন্য যখন হাহাকার চলছে, তখন বিশ্বজুড়ে এই মহামারীতে প্রাণহানি ৪০ লাখ ছাড়িয়েছে। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলোতে মৃত্যু কমলেও ডেল্টা ধরন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় বেশ কয়েকটি দেশের পরিস্থিতি নাজুক, যেখানে টিকারও সংকট চলছে। রয়টার্সের দেওয়া টালি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, কোভিড-১৯ সংশ্লিষ্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়াতে বছরের বেশি সময় লেগেছে। কিন্তু পরের ২০ লাখ মৃত্যু ঘটেছে মাত্র ১৬৬ দিনে। সবচেয়ে বেশি মারা গেছে যে পাঁচটি দেশে – যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ভারত, রাশিয়া ও মেক্সিকো- তা বিশ্বে মোট মৃত্যুর অর্ধেক। জনসংখ্যার অনুপাতে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে পেরু, হাঙ্গেরি, বসনিয়া, চেক রিপাবলিক ও জিব্রালটারে। এ বছরের মার্চ থেকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলো কোভিড-১৯ মহামারীর সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে। বিশ্বের প্রতি ১০০ নতুন সংক্রমিতের ৪৩ জনই ছিল এই অঞ্চলের। গত সপ্তাহের হিসাবে মাথাপিছু মৃত্যুর হারেও বিশ্বের শীর্ষ নয়টি দেশ এই মহাদেশের। বলিভিয়া, চিলি ও উরুগুয়ের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি রোগীদের বেশিরভাগেরই বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছর, যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে তরুণ জনগোষ্ঠীকেও কাবু করে ফেলছে মহামারী। ব্রাজিলের সাও পাওলোতে হাসপাতালগুলোর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের ৮০ শতাংশই কোভিড-১৯ রোগী। ভারত ও ব্রাজিল হচ্ছে এমন দুটি দেশ, যেখানে টানা সাত দিন ধরে দৈনিক সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। মৃতদেহের সৎকার ও সমাধির জন্য পর্যাপ্ত স্থানের অভাব দেখা দিয়েছে দুই দেশেই। রয়টার্সের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিশ্বে প্রতিদিন কোভিডে মৃত প্রতি তিন জনের মধ্যে একজন ভারতে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অনেকে মনে করেন, বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর হিসাবে প্রকৃত সংখ্যা প্রতিফলিত হচ্ছে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গত মাসের একটি হিসাব থেকে জানিয়েছে, প্রাণহানির সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে। গত সপ্তাহে ভারতের বিহার রাজ্যে হাজার হাজার কোভিড-১৯ আক্রান্ত চিহ্নিত না হওয়ার ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর দেখা গেছে, এই রোগে মৃতের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। এই ঘটনা থেকে  ধারণা করা হচ্ছে, ভারতজুড়ে মহামারীতে মৃত্যুর আসল সংখ্যাটি সরকারি হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি। দরিদ্র দেশগুলো টিকার ঘাটতির কারণে নিজেদের জনগোষ্ঠীকে টিকা দিতে পারছে না। তাই মহামারী নিয়ন্ত্রণে টিকা দান করার জন্য ধনী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। ধনী দেশগুলোকে যত দ্রুত সম্ভব টিকার ডোজ ছাড় করার আহ্বান জানিয়ে বুধবার প্যান অ্যামেরিকান হেলথ অরগানাইজেশনের পরিচালক ক্যারিসা এতিনে বলেন, অ্যামেরিকাজুড়ে সবচেয়ে বড় সংকটটি হল- টিকাপ্রাপ্তি, টিকা গ্রহণ করা নয়। সম্প্রতি ধনী সাত দেশের জোট জি ৭ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, দরিদ্র দেশগুলোর জনগণের জন্য তারা ১০০ কোটি ডোজ টিকা বিতরণ করবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর
© All rights reserved ©2021  Daily Andoloner Bazar
Theme Customized By Uttoron Host

You cannot copy content of this page