ঢাকা অফিস ॥ ভারত থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ, চীনসহ অন্যান্য দেশ থেকে করোনার ভ্যাকসিন আমদানি নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হলো সংশ্লিষ্টদের অদূরদর্শিতায় টিকা কূটনীতিতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। গতকাল রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন। তারা বলেন, কোটি কোটি টাকা মুনাফার লক্ষ্যে টিকা আমদানি হয়েছে। এ কারণেই টিকা পেতে বিকল্প উৎস রাখা হয়নি। তিন পক্ষের চুক্তি অনুযায়ী এ পর্যন্ত দেশের প্রায় ৫০ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। কিন্তু ভ্যাকসিনের নিশ্চয়তা মেলেনি। অন্যদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্তারা প্রতিদিন করোনার তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম ঢেউয়ের ভয় দেখাচ্ছেন। এজন্য জনগণকে দায়ী করে নিজেদের দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। করোনা প্রতিরোধে সরকারের প্রস্তুতির কথা স্পষ্ট করতে পারছেন না। নেতৃদ্বয় বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বাংলাদেশ প্রথমেই ভ্যাকসিন এনে গণটিকা কার্যক্রম শুরু করতে পারলেও এখন ভ্যাকসিন আনা সম্পূর্ণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সরকারি মহল থেকে এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা আশাবাদ ব্যক্ত করা হলেও বাস্তবে তা দেখা যাচ্ছে না। ভ্যাকসিন সংগ্রহে মাত্র একটি উৎসে নির্ভরতা, একক ব্যক্তি স্বার্থ রক্ষায় অন্য উৎস থেকে ভ্যাকসিন আনায় বাধা দান এবং ভ্যাকসিন নিয়ে রাজনীতি ও কূটনীতি সরকারের প্রাথমিক সাফল্যকেই শুধু ম্লান করেনি, জনগণের জীবন ও জীবিকাকেও ঝুঁকিতে ফেলেছে। তারা বলেন, সরকারের অদূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে আটকা পড়েছে দেশের কোটি কোটি মানুষের টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা। মানুষের জীবনই প্রধান বিষয়; সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি, ব্যর্থতা ও অদক্ষতা আরেকবার প্রকট হয়ে প্রকাশ পেয়েছে। এখন সরকারিভাবে কত দ্রুত করোনার টিকা দেওয়া হবে, দেশের মানুষ সেদিকেই তাকিয়ে আছে।
চুয়াডাঙ্গায় শনাক্তের হার ৬৭ শতাংশ
ঢাকা অফিস ॥ চুয়াডাঙ্গায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৭ জন করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে কেউ মারা যায়নি। এতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৬৬ দশমিক ৭ শতাংশে। শনিবার রাতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সবশেষ করোনা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় সীমান্তবর্তী দামুড়হুদা উপজেলাতেই আক্রান্ত হয়েছেন ২০ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২২২ জনে। শনিবার চুয়াডাঙ্গায় ৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৭ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় দুইজন, দামুড়হদায় ২০ জন, আলমডাঙ্গায় তিনজন ও জীবননগরে ১২ জন রয়েছে। বর্তমানে জেলায় সক্রিয় রোগী ২৬৫ জন। তাদের মধ্যে বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন ২২৪ জন, হাসপাতালে আছেন ৩৮ জন এবং বাকি তিনজনকে রেফার্ড করা হয়েছে। এছাড়া জেলায় মোট আক্রান্তের মধ্যে সদর উপজেলায় ১ হাজার ৮৯ জন, দামুড়হুদায় ৪৯৮ জন, আলমডাঙ্গায় ৩৮৫ জন ও জীবননগরে ২৫০ জন রয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও ২৩ জন। জেলায় এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮৮৬ জন। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৭১ জন। যার মধ্যে জেলার ভেতরে মারা গেছেন ৬৪ জন এবং জেলার বাইরে সাতজন। চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান জানান, শনিবার ৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৭ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। যা একদিনে সর্বোচ্চ ৬৬ দশমিক ৭ শতাংশ। এটিই এখন পর্যন্ত জেলায় একদিনে সর্বোচ্চাে আক্রান্তের হার।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply