1. andolonerbazar@gmail.com : AndolonerBazar :

করোনা রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত ও কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের নির্দেশ দিলেন সাংসদ মাহবুবউল আলম হানিফ

  • সর্বশেষ আপডেট : মঙ্গলবার, ১৫ জুন, ২০২১

 

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ করোনায় আক্রান্ত রোগীদের প্রথম পর্যায়ে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়া জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির জরুরি জুম মিটিংএ তিনি এনির্দেশ দেন।

সাংসদ হানিফ বলেন, জেলায় করোনা রোগী বেড়ে যাচ্ছে। এতে যাতে স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে না পড়ে সেজন্য চিকিৎসকদের সজাগ থাকতে হবে। যারা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে তাদের প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা দিতে হবে। যাতে গুরুতর পর্যায়ে না যায়। একই সাথে কুষ্টিয়া পৌর এলাকায় যে বিধিনিষেধ চলমান রয়েছে সেটা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। জেলার করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে সব সময় কাজ করা হবে। খুব দ্রুত সময়ে এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হবে বলে তিনি আশা করেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় কুষ্টিয়া জেলায় করোনা প্রতিরোধে তদারকির দায়িত্বে থাকা সচিব কুষ্টিয়ার মেয়ে সুলতানা আফরোজ, সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান সালেক মাসুদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি হাজী রবিউল ইসলাম, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ দিলদার হোসেন, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক আবদুল মোমেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব সদর উদ্দীন খান, এনএসআইয়ের উপপরিচালক ইদ্রীস আলী, বিজিবির ৪৭ ব্যাটলিয়ানের কর্মকর্তাসহ কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের পক্ষে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক তৌহিদী হাসান বক্তব্য রাখেন।

এছাড়াও জুম মিটিংএ উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার, কুষ্টিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহীন উদ্দীনসহ বিভিন্ন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তারা।

সভার শুরুতেই জেলা প্রশাসক মোঃ সাইদুল ইসলাম জেলার করোনা পরিস্থিতির তথ্য তুলে ধরেন। এতে জেলায় করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন- কুষ্টিয়া পৌরসভায় প্রতিদিন ব্যাপক হারে রোগী বাড়ছে। শুধু তাই ই নয় বর্তমানে শহরের বাইরেও উপজেলা এমনকি গ্রামের দিকে রোগী বাড়তে শুরু করেছে। এটা দ্রুত সময়ে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। প্রয়োজনে কুষ্টিয়াসহ পুরো খুলনা বিভাগে লকডাউনের মতামত দেন তিনি।

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ দেলদার হোসেন বলেন, কলেজের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে প্রতিটি উপজেলায় মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিম উপজেলা পর্যাযের রোগীদের সেবা নিশ্চিত করবে।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক আবদুল মোমেন বলেন, হাসপাতালে করোনা রোগী বেড়ে যাচ্ছে। এজন্য ৭৪ বেডের শয্যার জায়গায় ১০০ শয্যা করা হয়েছে। হাসপাতালে জরুরি রোগী ভর্তি ছাড়া  অন্য কোন রোগী ভর্তি করা হচ্ছে না।

মিটিংএ কুষ্টিয়া সদর সাংসদ মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, জেলায় বাড়িতে বাড়িতে অক্সিজেন সেবা দেবার জন্য ১০০ সিলিন্ডার মজুদ আছে। সেটা কাজে লাগানোর জন্য সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দেন।

তিনি আরও বলেন, এই করোনাকালে মানুষ যাতে কষ্টে না থাকে বা যারা অসহায় তাদের খাদ্য নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন।

পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন- করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ সবসময় মাঠে কাজ করে যাচ্ছে। কুষ্টিয়া পৌরসভায় প্রবেশের সাতটি পয়েন্টে সকাল আটটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত দুই শিফটে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে মানুষের চলাচল ও গাড়ি নিয়ন্ত্রন করছে। মাস্ক বিতরণসহ করোনা প্রতিরোধে যা যা পদক্ষেপ নেবার দরকার সব করা হচ্ছে। সাংসদ হানিফের নির্দেশ বাস্তবায়ন করবেন বলে তিনি জানান।

চেম্বার সভাপতি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী রবিউল ইসলাম বলেন, করোনাকালে আমাদের নেতা সাংসদ মাহবুবউল আলম হানিফ সব সময় পাশে ও কাছে থেকে খোঁজ খবর নেন। নিজে উপস্থিত থেকে কাজ করেন। এটা অনেক বড় পাওয়া। ভবিষ্যতে জেলার করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ও উন্নয়নে তিনি আমাদের সাথে থাকবেন।

কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খোকসা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সদর উদ্দীন খান বলেন, করোনা প্রতিরোধে আমাদের নেতা মাহবুবউল আলম হানিফ যেভাবে নিরলসভাবে কাজ করছে তা অন্য কোন জেলায় কেউ করে না। তিনি বেশী সংখ্যক পরীক্ষার জন্য নতুন পিসিআর ল্যাব স্থাপনের জন্য সাংসদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন ইনশাল্লাহ আমরা করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পারবো।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর
© All rights reserved ©2021  Daily Andoloner Bazar
Site Customized By NewsTech.Com