নিজ সংবাদ ॥ কুষ্টিয়ায় তিন খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার পুলিশের বরখাস্ত এএসআই সৌমেন কুমার রায় কারাগারে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার রক্তচাপ হঠাৎ বেড়ে গিয়ে তিনি অসুস্থ হন। এরপর তাকে কারগারের হাসপাতালে কয়েক ঘন্টা রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়। এরপর থেকে তাকে কারাগারের একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে। বাইরে থেকে যেসব নতুন আসামী কারাগারে যাচ্ছেন তাদের জন্য এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। করোনার বিস্তার ঠেকাতে প্রতিজন আসামীকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখছে কারা কর্তৃপক্ষ। কারাগারের একটি সুত্র জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হয়ে আসার পর দিনই কারাগারে হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে যায় সৌমেনের। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়। কয়েক ঘন্টা পর তার অবস্থা স্বাভাবিক হলে তাকে কোরনা ওয়ার্ডে পাঠানো হয়।এরপর থেকে তিনি সেখানে আছেন। তার সাথে আরো কয়েকজন আসামীকে রাখা হয়েছে। জানা গেছে, করোনা সনাক্ত বাড়ার পর কুষ্টিয়া কারাগারে ভিআইপি বন্দীদের জন্য ব্যবহৃত কক্ষগুলো নতুন আসামীদের জন্য কোয়ারেন্টাইন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে প্রতিজন বন্দীকে ৭দিন রাখার পর অন্য একটি ওয়ার্ডে আবার ৭ রাখা হচ্ছে। সৌমেন কারাগারে যাওয়ার পর তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। কারাগারের একজন কর্মকর্তা জানান, তার ওপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। কারাগারে থেকে যাতে কোন অঘটন না ঘটাতে পারেন। তিনি আসার পর একদন চুপচাপ আছেন। লোকজনের সাথে তেমন মেশেন না, কথাও কম বলেন। অসুস্থ হওয়ার পর থেকে আরো চুপসে গেছেন। কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের জেল সুপার তায়েদ উদ্দিন মিয়া বলেন, নতুন আসামী আসার পর করোনার কারনে তাদের অবজারভেশন ওয়ার্ডে রাখা হচ্ছে। সৌমেনকেও একই ওয়ার্ডে পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে। মাঝে একদিন তার রক্তচাপ বেড়ে যায়। চিকিৎসা দেওয়ার পর ঠিক আছেন।’ উলে¬খ, গত রোববার শহরের কাস্টসম মোড়ে গুলি করে নারী-পুরুষ, শিশুসহ তিনজনকে হত্যা করে সৌমেন। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। মামলা হয়েছে মডেল থানায়। আদালতে দায় করে স্বীকারোক্তি দিয়েছে সে।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply