কুমারখালী প্রতিনিধি ॥ “আঁধারের পথ মাড়িয়ে, আলোর হাঁসি ছড়িয়ে, কবিতারা মিছিল করে” শিল্পী শেখ মিলনের কথা ও সুরে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে দেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী খ্যাত কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক’শো কবির স্বত:স্ফুর্ত অংশগ্রহণে দিনব্যাপী কবিতা উৎসব’র উদ্বোধন করা হয়েছে।
মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শহীদ গোলাম কিবরিয়া ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় কুমারখালী কবিতা পরিষদ দিনব্যাপী এই উৎসবের আয়োজন করেছে। গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় কুমারখালী পৌর শিশুপার্ক চত্বরে কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ স্থানীয় ও অতিথি নবীন-প্রবীণ কবিদের সাথে নিয়ে জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা ও কবিতা উৎসবের পতাকা উত্তোলন করেন। এ ছাড়াও কবিদের সাথে নিয়ে আকাশে বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধনী ঘোষনা করা হয় দিনব্যাপী এ কবিতা উৎসবের।
উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতা শেষে উৎসবের মঞ্চে প্রবীণ কবি সৈয়দ আব্দুস সাদিকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই উৎসবের প্রধান অতিথি সাংসদ ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ সহ অতিথি কবি ও আলোচকদের উত্তরীয় সহ ব্যাচ পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, সাবেক সচিব ও কবি কাজী আখতার হোসেন, কুমারখালী পৌরসভার মেয়র মো. সামছুজ্জামান অরুন, কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিতান কুমার মন্ডল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, কবিতা উৎসব আয়োজনের অন্যতম উদ্যোক্তা কবি ও নাট্যকার লিটন আব্বাস।
উদ্বোধনী আলোচনা সভা শেষে স্থানীয় ও অতিথি কবিদের স্বরচিত কবিতা পাঠের পর্ব শুরু হয়। এ সময় স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন, সাবেক সচিব ও কবি কাজী আখতার হোসেন, কবি ও দৈনিক বাংলাদেশ বার্তা পত্রিকার সম্পাদক আব্দুর রশিদ চৌধুরী, কবি ও গবেষক এ্যাড. লালিম হক, কবি রফিকুর রশিদ, কবি শান্তা মারিয়া, কবি-গবেষক ও সাংবাদিক বিলু কবির, কবি আলম আরা জুঁই, কবি আল কামা সিদ্দিকী, কবি ও গবেষক ড. রকিবুল হাসান, কবি মাহমুদ হাফিজ, শিশু সাহিত্যিক দিপু মাহমুদ, কবি ও শিল্পী রবিউল হক, কবি মীর মর্তুজা আলী বাবু, কবি সৈয়দা হাবিবা, কবি শৈবাল আদিত্য, কবি ও সাংবাদিক রনজক রিজভী, কবি ও সাংবাদিক রেজাউর রহমান রিজভী প্রমূখ।
কবিতা উৎসব উপলক্ষে পৌর শিশুপার্কের পুরো চত্বর পরিণত হয়েছে কবিদের মিলন মেলায়। কবিরা একে অপরের সাথে পরিচিত হচ্ছেন, সেলফী তোলা সহ নিজেদের মুল্যবান বই আদান-প্রদানের মধ্যদিয়ে এক অদৃশ্য সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন।
কবিতা উৎসব আয়োজন নিয়ে কুমারখালী পৌর সভার মেয়র মো. সামছুজ্জামান অরুন জানান, সাংস্কৃতিক রাজধানী কুষ্টিয়ার প্রবেশদ্বার হচ্ছে কুমারখালী। এই কুমারখালীর মাটি যে উর্বর, সত্যিই তা আরেকবার প্রমাণ হলো এই কবিতা উৎসবের মধ্যদিয়ে। নানাব্যস্ততা থাকা সত্ত্বেও এই আয়োজন ছেড়ে কোথাও যেতে ইচ্ছে করছে না। কবিতা উৎসব আয়োজনের উদ্দেশ্য নিয়ে আলাপকালে আয়োজক কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা কবি ও নাট্যকার লিটন আব্বাস বলেন, স্থানীয় নবীন কবিদের সাথে প্রবীণ কবিদের সম্পর্কের একটা সেতুবন্ধন তৈরীর জন্যই দিনব্যাপী এই কবিতা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। দশটি সেশনে এক’শো কবি পর্যাক্রমে স্বরচিত কবিতা পাঠ করবেন। সেই সাথে প্রতিটি সেশনে সভাপতি ও আলোচক হিসাবে থাকবেন প্রবীণ কবিরা।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply