কুমারখালী প্রতিনেধি ॥ গত (১৮ মে) বেলা ১২ টা সময় কুষ্টিয়া কুমারখালী শিলাইদহ ইউনিয়নের খোদ্দবন গ্রামের শিলাইদহ আতিয়ার রহমান মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রীর উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে । স্কুল শেষে বাড়িতে ফেরার সময় শিলাইদহ বাজার হতে আড়পাড়া গ্রামের মাঝামাঝি স্থানে আড়পাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের বখাটে ছেলে নাহিদের হামলার শিকার হয় ওই ছাত্রী । ছাত্রীর ভাষ্যমতে, গত দুই মাস যাবত বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে, শিলাইদহ আড়পাড়া গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলামের বখাটে ছেলে নাহিদ এবং তার বন্ধু সহ উত্তপ্ত করে আসছে। বুধবার বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে আসার পথে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে আমি তা প্রত্যাখ্যান করি। এই সময় নাহিদ আমাকে মারধর করে রাস্তার মধ্যে ফেলে দেয় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এখন আমি ঘর থেকে বের হতে পারছিনা ভয়ে। আমার মডেল টেস্ট পরীক্ষার চলছে আমি পরিক্ষা পর্যন্ত দিতে যেতে পারছিনা তাদের ভয়ে । আমি বখাটের বিচার চাই। আমার পরিবার থেকে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বরাবর এই বিষয়ে দরখাস্ত দেওয়ার পরেও এখন পর্যন্ত কোন আইনগত সুবিধা পায়নি। নাহিদ এবং তার পরিবারের লোকজন বলছে, আমাদের কিছুই হবে না। নাম প্রকাশে একজন জানান, মেয়েটি স্কুল থেকে বাড়িতে আসার পথে নাহিদ মেয়েটির গতিরোধ করে প্রেমের প্রস্তাব দিলে মেয়েটি প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় মেয়েটিকে রাস্তার মধ্যে মারধর করে। এই সময় মেয়েটিকে বাড়ি থেকে বের হলে কিংবা কাউকে কিছু বললে জানে মেরে ফেলা হবে এমন হুমকি দেয় নাহিদ। মেয়টি এই ভয়ে এস এস সি মডেল টেস্ট পরীক্ষার দিতে পারছেনা । নাহিদের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ার কারণে কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না। ঘটনাটি স্থানীয় পর্যায়ে মিমাংসা করবার চেষ্টা করা হয় বলেও জানা গেছে। ছাত্রীর বাবা জানান, আমার আমার মেয়েকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করে এলাকার মোঃ নজরুল ইসলাম এর ছেলে মোঃ নাহিদ। গত বুধবার বেলা ১২ টার দিকে স্কুল থেকে বাড়িতে আসার পথে নাহিদ আমার মেয়েকে মারধর করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এই ঘটনায় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে বললে, তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। উল্টো আমাদেরকেই হুমকি দিয়েছে তারা। আমি কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর, একটি অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো আইনগত ব্যবস্থা পায়নি। আইনগত ব্যবস্থা না পাওয়ায় আমি ও আমার পরিবার আতঙ্কের মধ্যে আছি। অভিযুক্ত নাহিদের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলে বাড়িতে নেই, যে ঘটনা ঘটেছে স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করা হয়েছে। কুমারখালী নিবার্হী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল বলেন, এই বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। আমি থানা কে অবহিত করছি, আইনগত ব্যবস্থা নিতে। কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, এই বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি, পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply