কুমারখালী প্রতিনিধি ॥ কুমারখালীতে মধুস ফ্যাসনের ফ্যাক্টরি সেলস এন্ড ডিসপ্লে সেন্টার পরিদর্শন করেছেন ইউএনও বিতান কুমার মন্ডল। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে পৌর এলাকার বাটিকামারা তরুণ মোড়ের অদুরে গড়ে ওঠা মধুস ফ্যাসনের ফ্যাক্টরি সেলস ও ডিসপ্লে সেন্টার পরিদর্শনে যান তিনি। এ সময় উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মদ আলী উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিতান কুমার মন্ডল কে মধুস ফ্যাসনের পরিচালক পার্থ সারথী সহ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীরা ইউএনও কে ফুল দিয়ে বরণ করেন। পরে ইউএনও ওই প্রতিষ্ঠানের গার্মেন্টস, টেইলারিং, সেলস ও ডিসপ্লে সেন্টার সহ সকল বিভাগ ঘুরে দেখেন এবং কর্মরত শ্রমিকদের সাথে কথা বলেন। পরিদর্শন শেষে মধুস ফ্যাসনের পরিচালক ও উদ্যোক্তা পার্থ সারথী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জনের পর পরই বাবার ইচ্ছে ও অনুরোধে ব্যাংকের চাকুরীতে যোগদান করেন। কিন্তু তাঁর নিজের ইচ্ছে ছিল কারো অধীনে নয়, নিজের উদ্যোগেই কিছু করাবে। পরবর্তীতে পার্থ পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করেই ছেড়ে দেন ব্যাংকের চাকুরী। পার্থ’র বাবা কুমারখালী শহরের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তা সত্ত্বেও পার্থ বাবার ব্যবসার হাল না ধরে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে মেলে ধরার প্রচেষ্টা শুরু করেন। ২০১৪ সালে তিনি মায়ের সহযোগিতায় মাত্র দেড় লক্ষাধিক টাকা এবং চারজন কারিগর নিয়ে নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি ক্ষুদ্র পোষাক তৈরির কারখানা চালু করেন। গেল কয়েক বছরের ব্যবধানে নিজের বাসভবনের অদুরে চার শতাংশ জমি কিনে সেখানে একটি দ্বিতলা বিশিষ্ট ভবন তৈরি করেছেন। আর এখন ওই ভবনে মধুস ফ্যাসন নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন তিনি। বর্তমানে গার্মেন্টস বিভাগে বিভিন্ন ধরণের আধুনিক মানের মেশিন সংযোজন করা হয়েছে। আর কর্মরত শ্রমিক সংখ্যা পঁচিশ জন। এছাড়াও একই ভবনে রয়েছে টেইলারিং বিভাগ। সেখানে নারী পুরুষের সকল প্রকার পোষাক তৈরি ও হোম ডেলিভারি পর্যন্ত দিচ্ছেন তার প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও রয়েছে ডিসপ্লে ও সেলস সেন্টার। পার্থ জানান, সেলস সেন্টার থেকে জিন্স, গ্যাবার্ডিন, শার্ট – প্যান্ট, টি-শার্ট, পলো শার্ট, বক্সার ও অন্যান্য তৈরি পোষাক ফ্যাক্টরি মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানের তৈরি পোশাকের বিক্রি অনেক ভালো। আর ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে পার্থ জানান, ভবিষ্যতে অনেক বড় একটা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চান। মধুস ফ্যাসন পরিদর্শনকালে ইউএনও বিতান কুমার মন্ডল বলেন, ইতোমধ্যে আমরা উদ্যোক্তা উন্নয়নের কাজ শুরু করেছি। আর আজ খবর পেয়ে মধুস ফ্যাসন হাউস পরিদর্শনে এসেছি। শিক্ষিত উদ্যোক্তা পার্থ সারথী স্বল্প পুঁজি নিয়ে শুরু করেন। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে আজ অনেক দুরে অগ্রসর হয়েছে এবং মধুস ফ্যাসন এখন একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ভবিষ্যতে এই প্রতিষ্ঠানের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সকল প্রকার সহযোগিতা করতে সব সময় পাশে থাকবে কুমারখালী উপজেলা প্রশাসন।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply