কুমারখালী প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পিতম্বরবসী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গতকাল সোমবার শিপন হত্যার বিচার চেয়ে মামলার ১নং আসামী পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সামিউর রহমান সুমনের ফাঁসির দাবীতে পিতম্বরবসী গ্রামের হাজারো মানুষ দুপুর ১২ টার দিকে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন। গত ২২ মে রাতে ডেকোরেটর ব্যবসায়ী শিপনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যার ঘটনায় কুমারখালী থানায় আলতাব হোসেন বাদী হয়ে ৩১ জনকে আসামী করে মামলা করেন। গতকাল সুমনের ফাঁসির চাই, ও শিপন হত্যার বিচার চাই, পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সুমনের বহিস্ককার চাই শ্লোগানে নারী-পুরুষ মুখরিত হয়ে ওঠে এই মানববন্ধনে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পান্টি ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর মুক্তা রানীসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি। বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন- শিপন হত্যার মূল আসামী সুমনসহ সকলের বিচার চান। তারা আরো বলেন- শিপন হত্যার ৯দিন অতিবাহিত হলেও কোন আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে নাই। মানববন্ধন শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল হয়। একটি সুত্র জানায়, পান্টি ইউনিয়নে সুমন রয়েছে একটি শক্তিশালী বাহিনী। তারা এপর্যন্ত ৩০-৩৫ জনকে মেরে পঙ্গু করে দিয়েছে। সুমন বাহিনীর কারনে ৩টি হত্যার ঘটনা ঘটেছে। উল্লেখযোগ্য, রাজাপুরের বিল্লাল ও পিতম্বরবসীর শিপন। সুমন বাহিনী এলাকার শালিস থেকে চাঁদা আদায়, বিএনপি ও প্রতিপক্ষের নিকট থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। সুমন আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী হওয়ার পর তার কপাল খুলে যায়। গতকাল কুষ্টিয়া বিজ্ঞ আদালতে শিপন হত্যার ১০জন আসামী আত্মসমর্পণ কলতে বিজ্ঞ বিচারক তাদের আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। শিপন হত্যার আসামী, পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সামিউর রহমান সুমন (৪০), ময়েন, সেলিম, কবির উদ্দিন, মিজান, বাবলু, হাসান, আকরাম, হাসেন, দেব দুলাল বিশ্বাস, পলাশ, মদন, তাহাজ্জত হোসেন, ডাবলু বিশ্বাস, রোকনুজ্জামান, মাসুম, সজিব, মনছের আলী, লাল্টু, শাহিন, মুক্তার, আনিস, আলিম, এনামুল হক হেতেম, মিজানুর, বসির, মিজান, শহিদুল, মোতাহার খা, আজাদ, শুকুর আলী, আ: মালেকসহ অজ্ঞাত ১০-১৫ জন। এই বিষয়ে কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।