কাঞ্চন কুমার ॥ করোনা সংক্রমণের হার পর্যালোচনা করে কুষ্টিয়ার মিরপুর পৌরসভা এলাকা সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল বুধবার (১৬ জুন) বিকেলে উপজেলা সভাকক্ষে করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভায় উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য, জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন মিরপুর পৌরসভার মেয়র হাজী এনামুল হক, উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জোয়ার্দ্দার, মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মামুনুর রশীদ, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সোহাগ রানা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জামশেদ আলী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জুলফিকার হায়দার, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ এস এম কামরুজ্জামান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার ও উপজেলা সম্মিলিত নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক নজরুল করিম, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বাবলু রঞ্জন বিশ্বাস, সহ-সভাপতি রাশেদুজ্জামান রিমন, সাধারণ সম্পাদক মজিদ জোয়ার্দ্দার, পৌর কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন, নজরুল ইসলাম মল্লিক, সাইফুর রহমান নাজিম, রেজাউল করিম রেজা, আলম আলী মন্ডল, সাইফুল গণি প্যারিন, ইলিয়াস কাঞ্চন, হালিমা খাতুন, লাকী বেগম, শাহানাজ খাতুন, উপজেলা শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল আলম হীরা, সাংবাদিক আলম মন্ডল, সুমন মাহমুদ, পালপাড়া বাজার কমিটির সভাপতি আল্লেক হোসেন, মিরপুর পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মফিদুল শেখ, মিরপুর নতুন বাজার কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন বাবু প্রমুখ। সভা শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস জানান, আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) ভোর ৬টা থেকে পৌর এলাকায় সর্বাত্মক কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করে মাইকিং করা হয়েছে। এতে বলা আছে, করোনা ভাইরাসজনিত রোগে সংক্রমণের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতি বিবেচনায় বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) ভোর ৬টা থেকে বুধবার (২৩ জুন) রাত ১২টা পর্যন্ত মিরপুর পৌরসভা এলাকা ও আশেপাশের বাজারসমূহ সর্বাত্মক কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়। বিধিনিষেধগুলো হলো সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মার্কেট, দোকান বন্ধ থাকবে। তবে ওষুধ, কাঁচামাল, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন বা সৎকারের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠান এর আওতা বহির্ভূত থাকবে। জরুরী প্রয়োজনে কেউ ঘরের বাহিরে গেলে অবশ্যই তাকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত সংখ্যক যাত্রী নিয়ে ইজিবাইক ও ভ্যান রিক্সা চলাচল করতে পারবে। কৃষিপণ্য, খাদ্যসামগ্রী, রোগী পরিবহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি সেবাদানকারী পরিবহন বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকবে।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply