নিজ সংবাদ ॥ কুষ্টিয়া শহরের পাশাপাশি এবার জেলার গ্রাম অঞ্চলের দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে মরন ভাইরাস করোনা। জেলার প্রতিটি উপজেলায় প্রতিদিন বাড়ছে শনাক্তের সংখ্যা। এদিকে গতকাল বুধবার জেলায় আরো ১৩৯ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদিন মারা গেছেন আরও চারজন মানুষ। গতকাল বুধবার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পিসিআর ল্যাবে মোট ৪৩৫ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১৩৯টি নমুনা পজিটিভ আসে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার প্রায় ৩১ শতাংশ। গতকাল রাতে জেলা প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। নতুন রোগীর মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ১৯ জন, কুমারখালী ও দৌলতপুর উপজেলায় ২৯ জন করে, ভেড়ামারা উপজেলায় ১২ জন, খোকসা উপজেলায় ১৬ জন এবং মিরপুর উপজেলায় সর্বোচ্চ ৩৫ জন শনাক্ত হয়েছে। কুষ্টিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজন সদর উপজেলা, দুইজন মিরপুর ও একজন ভেড়ামারার বাসিন্দা ছিলেন। এনিয়ে জেলায় মোট করোনা রোগী শনাক্ত হলো ৬৮০২ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫১৫৯ জন। এখন পর্যন্ত জেলায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন ১৬৬ জন। প্রসঙ্গত, বরাবরই সদর উপজেলা তথা কুষ্টিয়া শহরে এতদিন শনাক্তের হার বেশি ছিল। তবে গত কয়েকদিন ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে জেলা সদরের পাশাপাশি বিভিন্ন উপজেলা তথা গ্রামাঞ্চলেও প্রচুর রোগী শনাক্ত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে গ্রামের মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার হার কম হওয়ায় সেখানে দ্রুত এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। এদিকে, জেলা প্রশাসন সর্বাত্মক লকডাউন এর ঘোষণা দিলেও এর মধ্যেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। রোগীর চাপে হিমশিম খাচ্ছে আড়াইশো শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সরা।
এদিকে রোববার দিবাগত রাত বারটা এক মিনিট থেকে পুরো জেলা জুড়ে চলছে কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। মানুষকে ঘরে রাখতে সোমবার ভোর থেকেই মাঠে তৎপর রয়েছে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা। গতকাল বুধবার লকডাউনের তৃতীয় দিনেও জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন প্রবেশ মুখে পুলিশ সদস্যদের কড়া পাহারা চলছে। জেলায় সবধরনের (অত জরুরি সেবা বাদে) যানবাহন বন্ধ রয়েছে। মাঠে ম্যাজিষ্ট্রেটের ভ্রাম্যমান নামানো হয়েছে। জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ছয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এসিল্যান্ডসহ জেলা প্রশাসনের ম্যাজিষ্ট্রেটদের সমন্বয়ে একাধিক টিম মাঠেই আছে। মানুষকে ঘরে রাখতে আইন প্রয়োগ করতে বাধ্য হচ্ছেন।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply