নিজ সংবাদ ॥ কুষ্টিয়া যেন এক মৃত্যুপুরী। মারণ ভাইরাস করোনায় এ জেলায় একের পর এক প্রাণ হারাচ্ছেন মানুষ। গতকাল সোমবার জেলায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জন মানুষের। কেউ বলতে পারছেন না এ মৃত্যু-মিছিল কোথায় গিয়ে থামবে। এদিন জেলায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১৮০ জন মানুষ। সোমবার কুষ্টিয়া জেলায় মোট ৫৪৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব পরীক্ষা করা হয় মোট ১৬৯টি নমুনা। এছাড়া র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট হয় ৩৭৬টি। এরমধ্যে ১৮০টি নমুনা পজিটিভ আসে। এ পর্যন্ত জেলায় এটা একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করোনার রোগী শনাক্ত সংখ্যা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার প্রায় ৩৩ শতাংশ। এদিকে করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ে কুষ্টিয়া জেলা জুড়ে প্রথম ৭ দিনের কঠোর লকডাউন মধ্যরাতে শেষ হয়। তবে তার আগে রাতেই লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী ১ জুলাই সকাল ছয়টা পর্যন্ত বৃদ্ধি করেন জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম। এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন তিনি।
গতকাল সোমবার সকাল থেকেই প্রায় সড়কে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য চেকপোস্ট বসিয়ে মানুষের ও যান চলাচল নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করছেন। তবে এরমধ্যে প্রতিদিনই শনাক্ত বৃদ্ধি ও রোগীর মৃত্যু হচ্ছে।
এদিকে রোববার বিকেলে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম জানান, জেলায় গ্রাম পর্যায়ে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। এটা বর্তমানে স্থিতি অবস্থায় রয়েছে। গড়ে শনাক্তের হার ৩০ শতাংশ। জুন মাসের ২৭ দিনে ৭৩ জন মারা গেছেন তাদের ৭০ শতাংশ ৫৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সী। এবং গ্রামের বাসিন্দা। গ্রামে আক্রান্ত হলেও তারা শেষ পর্যায়ে হাসপাতালে সেবা নিতে যাচ্ছে। সভায় কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সাংসদ ও আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘গ্রামে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার তাগিদ দেন। একই সাথে স্থানীয় চেয়ারমান ও ইউপি সদস্যদের কাজে লাগিয়ে এলাকাগুলোতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার বিষয়ে গুরুত্ব দিতে বলেন।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply