নিজ সংবাদ ॥ গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল কুষ্টিয়া জেলা জুড়ে লকডাউনের ৪র্থ দিন। কঠোরভাবেই লকডাউনের ৪র্থ দিনটি অতিবাহিত হয়েছে। এই দিনে ৯ জন করোনা আক্রান্তে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ভয়াবহ এ পরিস্থিতিতে  প্রশাসনের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত।

করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় ২০ জুন  থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী সকল ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্প-কারখানা, শপিংমল, দোকান, রেস্টুরেন্ট, পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার, বিনোদন কেন্দ্র, জেলার অভ্যন্তরে আন্তঃজেলা ও দুরপাল্লার সকল ধরণের গণপরিবহণ চলাচলের উপর কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করার পাশাপাশি এ বিধি নিষেধ শতভাগ বাস্তবায়নে কুষ্টিয়ায় পুলিশ বহুমুখী পদক্ষেপের মধ্যে অন্য জেলা হতে কুষ্টিয়া জেলার প্রবেশদ্বারসহ কুষ্টিয়া পৌরসভার আওতাধীন এক এলাকা হতে অন্য এলাকায় চলাচল বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। জেলার প্রবেশদ্বারসহ বিভিন্ন প্রবেশ পথে ৭ টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।

কুষ্টিয়া পৌরসভার আওতাধীন এক এলাকা হতে অন্য এলাকায় চলাচল বন্ধে বারখাদা ত্রিমোহনী মোড়, বটতৈল মোড়, লাহিনী বটতৈল মোড়, মোল্লাতেঘরিয়া মোড়, মিলপাড়া রেলক্রসিং, হরিপুর শেখ রাসেল সংযোগ সেতুর উত্তর প্রান্ত, জগতি রেল বাজারসহ বিভিন্ন প্রবেশ পথে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।

করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায়  পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য এ ৭টি চেকপোস্ট ছাড়াও শহরের মোল্লাতেঘরিয়া, পেয়ারাতলা, জেলখানা মোড়, হাউজিং নিশানমোড়, মজমপুর রেলগেট, মঙ্গলবাড়ীয়া বাজার, থানা মোড়, বড় বাজার রেলগেট, চৌরহাস মোড়, ছয় রাস্তার মোড়, হরিপুর ব্রীজ, কাস্টম মোড়সহ বিভিন্ন জায়গায় কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। আরোপিত বিধি নিষেধ যথাযথভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চেক পোস্টগুলিতে সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে তদারকী করছেন পুলিশ সুপার খাইরুল আলম। তিনি গতকাল সকালে মোল্লাতেঘরিয়া মোড়, লাহিনী  তিনি চলমান পরিস্থিতিতে কেউ বিধি-নিষেধ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে  বলে জানান। এসময় সাথে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা) ফরহাদ হোসেন খাঁন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) রাজিবুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আতিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাব্বিরুল আলমসহ জেলা পুলিশের সকল অফিসার ও ফোর্সগণ।