নিজ সংবাদ ॥ কুষ্টিয়ায় তাবলিগ জামায়াতের তিন দিনব্যাপী জেলা ইজতেমা বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে। কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের মশান এলাকায় হাজার হাজার মুসল্লী সমবেত হয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইস্তেমাস্থলে বিদ্যুৎ সংযোগ ও মাইক বিচ্ছিন্ন করা হলেও পরবর্তিতে রাতে তা আবারো সংযোগ দেয়া হয়েছে। শুক্রবার জুম্মার নামাজে শরীক হন হাজার হাজার মুসল্লী। শহর এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লীরা উপস্থিত হয়ে জুম্মার পরের বয়ান মনোযোগ সহকারে শোনেন। মাওলনা সাদপন্থী সাথীদের আয়োজনে এই ইস্তেমার আখেরী মোনাজাত হবে আজ শনিবার বেলা ১১টায়। ইস্তেমার মুরব্বী নুরুল আমাীন রতন জানান-দ্বীনি কাজে মুসল্লীরা স্বতস্ফুর্তভাবে ইস্তেমাস্থলে শরীক হচ্ছেন। সৌদি আরব ও ইংল্যান্ড থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসল্লিরা ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন। তিনি জানান, ২৫ একরের বিশাল এলাকা জুড়ে চলছে এই ইজতেমা। এ লক্ষ্যে ইজতেমা প্রাঙ্গনে স্থাপন করা শৌচাগার, গোসলখানা ও অজু করার স্থান। এছাড়াও ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের জন্য অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প বসানো হয়েছে। ইস্তেমায় শুক্রবার ফজর নামাজের পর বয়ান করেন মাওলানা মাহমুদুল্লাহ, তালিমের মউজু মাওলানা মোস্তফা খলিল, বাদ জুম্মা মহিউদ্দিন, বাদ আছর আরব মেহমান, তরজমা করেন মাওলানা মোস্তফা খলিল, বাদ মাগরিব মুফতি মিজান। শনিবার বাদ ফজর সাঈদ সাব, হেদায়েতের বয়ান করবেন মোজাম্মেল হক, মাওলানা মোস্তফা খলিল প্রমুখ।
জানান যায়- ইজতেমার আয়োজকরা প্রশাসনের কাছে অনুমতি চেয়ে চিঠি দেন। তবে প্রশাসন কোনো অনুমতি দেয়নি। তারপরও ইজতেমা আয়োজন করায় বৃহস্পতিবার বিকেলে সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যান। একপর্যায়ে মিরপুর উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) আবদুল কাদের ইজতেমা মাঠে আসেন। তিনি আয়োজকদের ইজতেমা বন্ধ করে নিজ নিজ এলাকায় চলে যাওয়ার অনুরোধ করেন। তারপরও মুসল্লিরা সেখানে বয়ান করতে থাকেন। এরপর বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ ও মাইকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় প্রশাাসন। এতে ভোগান্তিতে পড়েন ইজতেমায় আগত মুসল্লিরা। পরে অবশ্য বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হয়।
Leave a Reply