নিজ সংবাদ ॥ মোবাইলে প্রেমিকার গোপন ভিডিও ধারন করে তা ফাঁসের ভয় দেখিয়ে দুই লাখ দাবি করায় থানায় এজাহার দায়ের হয়েছে এক কৃষকলীগ নেতার বিরুদ্ধে। ওই কৃষকলীগ নেতার নাম রাশিদুল ইসলাম। তিনি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মনোহরদিয়া ইউনিয়ন কৃষক লীগের আহবায়ক। এজাহার দাখিলের পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি। রাশিদুল ইসলাম মনোহরদিয়া ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের কাছেদ আলীর ছেলে।
জানা গেছে, মোবাইলে মাত্র ছয় মাসের প্রেমের সম্পর্ক। প্রতিদিনই ভিডিওকলে দুজনের কথা চলত ঘন্টার পর ঘন্টা। এসময় দুজনের নানা অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও কৌশলে ধারণ করেন প্রেমিক রাশিদুল ইসলাম। গোপন সেই সব ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে প্রেমিকার কাছে দুই লক্ষ টাকা দাবি করেছে রাশিদুল। কোন উপায়ন্ত না পেয়ে পুলিশের দারস্ত হয়েছে প্রেমিকা। গত ২৬ এপ্রিল ওই মেয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার নিজেই বাদি হয়ে এজাহার দাখিল করেন।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ছয় মাস আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রাশিদুলের সাথে ওই মেয়ের প্রেমের সসম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর থেকে মোবাইল ফোনে এবং ভিডিওকলে প্রতিদিনই দুজনের কথা চলত। ভিডিওকলে কথা বলার সময় রাশিদুল কৌশলে অন্তরঙ্গ বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও ধারণ করে নেয়। এজাহারে ওই মেয়ে দাবি করেন, গোপনে ধারণকৃত সেই সব অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও দিয়ে তাঁকে ব¬্যাকমেইল করছে এবং নগদ ২লক্ষ টাকা দাবি করছে রাশিদুল। টাকা না দিলে আমার অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে।
এবিষয়ে মেয়েটি বলেন, অন্তরঙ্গ মুহুত্বেও ছবি ও ভিডিও আমার কাছে পাঠিয়ে দুই লক্ষ টাকা দাবি করেছে। টাকা না দিলে এই সব ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। অভিযোগের বিষয়ে রাশিদুলের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
কুষ্টিয়া জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ মোমিন মন্ডল বলেন, আমি ওমরা হজ করতে দেশের বাইরে গিয়েছিলাম। গতকাল ফিরেছি। এবিষয়টি আমার জানা নেই। সভাপতি বিষয়টি জানতে পারেন। কুষ্টিয়া জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মকবুল হোসেন লাভলুর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে উপজেলার আহ্বায়ক অথবা সদস্য সচিবের সাথে কথা বলেন।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ছাব্বিরুল আলম বলেন, এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
Leave a Reply