নিজ সংবাদ ॥ মঙ্গলবার বেলা একটা। করোনা ডেডিকেডেট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইশোলসন ওয়ার্ডে ছুটাছুটি করছেন সেলিনা খাতুন। তার স্বামী আজিজুর রহমানের (৬২) অক্সিজেন লেবেল নিচে নেমে যাচ্ছে মুখে লাগানো অক্সিজেন শেষ হয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি সেখানে থাকা আরও কয়েকজনের স্বজনদের দেখা দেয়। দিশেহারা হয়ে পড়েন সেখানে থাকা নার্স ও স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে কাজ করা ছাত্রলীগের কর্মিরা। এই হাসপাতালে বর্তমানে অন্তত ১৮০ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন। যার ৮০ ভাগ রোগীরই অক্সিজেন সাপোর্ট লাগছে। কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সাপোর্র্ট ও শতাধিক সিলিন্ডার থাকলেও সেগুলো অপ্রতুল।
বেলা দেড়টার এমন দৃশ্য দেখে দিশেহারা জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ দ্রুত স্থানীয় কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সাংসদ ও আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফকে ফোন দেন। পুরো বিষয়টি খুলে বলেন। এরপর দ্রুত হানিফ জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ অজয় সুরেকাকে ফোন করে যেভাবেই হোক দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালের আইশোলন ওয়ার্ডে অক্সিজেন সরবরাহের নিশ্চিত করতে বলেন।
শহররের মোল্লাতেঘরিয়া এলাকায় মনির আয়রন থেকে দ্রুত ৬৬ টি ছোট বড় সিলিন্ডার ট্রাকে করে আধাঘন্টার মধ্যে হাসপাতালে পৌছানো হয়। দ্রুত ট্রাক থেকে সিলিন্ডার নামিয়ে রোগীদের মুখে লাগানো হয়। বেলা দুইটার দিকে আজিজুর রহমানের মুখে নতুন সিল্ডিারের অক্সিজেন লাগানো হয়। অক্সিজেন লেবেল বর্তমানে ৯০ শতাংশ। চিকিৎসকেরা বলছেন, অক্সিজেন সাপোর্ট দ্রুত না পেলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বেশি ছিল। আইশোলসনে থাকা ছাত্রলীগের নেতা শেখ হাফিজ বলেন, প্রত্যেক রোগীদের বর্তমানে অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হচ্ছে। রাতের বেলায় রোগী ও স্বজনদের দেখে কষ্ট লাগে। যে পরিস্থিতি তাতে অক্সিজেন পর্যাপ্ত সরবরাহ রাখা প্রয়োজন। কিন্তু সেটা মনে হয় হচ্ছে না। জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ অজয় সুরেকা বলেন, ‘হানিফ ভাইয়ের নির্দেশে হাসপাতালে সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে সব কিছু করা হচ্ছে। কয়েকদিন আগেও সাংসদ হানিফের উদ্যোগে ২০০ সিলিন্ডার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে কিছু আমলাতান্ত্রিক সমস্যা আছে যেগুলো মানতে গেলে একটু সমস্যা হচ্ছে। কিছু করার নেই। এই পরিস্থিতিতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। মানুষ বাঁচাতে যেভাবেই এগিয়ে আসতে হবে।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply