নিজ সংবাদ ॥ কুষ্টিয়ায় করোনা সংক্রমণের হার না কমলেও মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। গত ২৪ ঘন্টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজন করোনা রোগী মারা গেছেন এর আগের দুদিনে অর্থাৎ গত শনি ও রবিবার মোট ১৭ জন রোগি মারা যান। তবে জেলায় করোনা সংক্রমণের হার আগের মতই আছে।
গতকাল সোমবার রাতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রেস রিলিজ অনুযায়ী ২৪ ঘন্টায় জেলায় ৩২৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ১১৯ জন রোগি সনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষার বিপরিতে সনাক্তের হার প্রায় ৩৭ শতাংশ। নতুন রোগীর মধ্যে সদর উপজেলায় সর্বোচ্চ ৩৯ জন, কুমারখালী উপজেলায় ২৫ জন, মিরপুর উপজেলায় ২০ জন, দৌলতপুরে ১৪ জন, খোকসা উপজেলায় ১২ জন ও ভেড়ামারা উপজেলায় ৯ জন রোগী সনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৬৪২২ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৯৮৫ জন মানুষ। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন জন ১৬৬ জন মানুষ।
এদিকে জেলায় করোনা সংক্রমন বৃদ্ধির কারণে রোগি বেড়েছে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসাপাতালে। হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডের শয্যা সংখ্যা ৪১টি থেকে বাড়িয়ে ১০০টি করা হয়েছে। তবে বর্তমানে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন ১২২ জন রোগি। হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা থাকলেও এক সঙ্গে ১০ জনের বেশি রোগিকে তা দেওয়া সম্ভব না। এদিকে, ১ বছর আগে এই হাসপাতালে ৪ শয্যার আইসিইউ ওয়ার্ড চালুর উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকার বলেন, নানা জটিলতায় এখনো অব্দি আইসিইউ ওয়ার্ড চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে শিঘ্রই ৪ শয্যার এই ওয়ার্ড চালু করা হবে। তিনি বলেন, সেন্ট্রালি সব রোগি অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব না হলেও হাসপাতালে পর্যাপ্ত সিলিন্ডার আছে। সিলিন্ডারের মাধ্যমে রোগিদের অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। এদিকে, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দুই দফার কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের পর গতকাল সোমবার থেকে জেলায় সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এতে বন্ধ রয়েছে সব ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। নিত্যপ্রয়োজনী দ্রব্যের দোকান চালু থাকছে সকাল ৭টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত। লোক সমাগম ঠেকাতে পুলিশ শহরে প্রবেশের ৮টি পথে চেকপোস্ট বসিয়েছে।
Leave a Reply