নিজ সংবাদ ॥ কুষ্টিয়ায় করোনা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতির কারণে জেলাজুড়ে সাতদিনের সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার থেকে এ লকডাউন কার্যকর হয়। লকডাউন কার্যকর করতে গতকাল সকাল থেকে পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। বিশেষ করে কুষ্টিয়া জেলা শহরের প্রবেশদ্বারগুলো অনেকটা সিল করে দেয়া হয়েছে। এতে শহরে লোক সমাগম বেশ কমে এসেছে।
জেলায় করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতির মুখে রবিবার রাতে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সুপারিশক্রমে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম লকডাউন এর ব্যাপারে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন। এই লকডাউন কার্যকর করতে ব্যাপক তৎপরতা চালায় জেলা পুলিশ। কাক ডাকা ভোর থেকে পুলিশ কুষ্টিয়া শহরের প্রবেশদ্বারগুলোতে অবস্থান নেয়। এ ধরনের আটটি পয়েন্টে পুলিশ চৌকি বসানো হয়। যাতে কোন যানবাহন শহরে প্রবেশ করতে না পারে। সকাল থেকে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার খাইরুল আলমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাদের শহরের আনাচে-কানাচে চষে বেড়াতে দেখা যায়। এ সময় তার সাথে ছিলেন কুষ্টিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান, মডেল থানা ইনচার্জ সাব্বিরুল ইসলামসহ পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ। এছাড়া জেলা প্রশাসনের মোবাইল টিম ছিল ব্যাপক তৎপর। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এসব টিম শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বেশকিছু ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে স্বাস্থ্যবিধি না মানার অভিযোগে জরিমানা করেন। এ কারণে গতকাল সকাল থেকেই পৌর শহরের অনেকটা সুনসান নিরবতা নেমে আসে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনা ছাড়াও জরুরী প্রয়োজনে যেসব মানুষ শহরে এসেছিল তাদের বেশির ভাগকেই পায়ে হেঁটে চলাচল করতে দেখা যায়। কারণ শহরে গতকাল ইজিবাইকসহ রিক্সার পরিমাণ ছিল অত্যন্ত কম। এদিকে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা এবং জেলা ছাত্রলীগ ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লকডাউন কার্যকর করতে দিনভর মাঠে ছিলেন। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা শহরের ব্যস্ততম বড়বাজার সহ সকাল থেকে বেশ কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করে ব্যবসায়ীসহ সাধারন মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে সচেতনতা মূলক বক্তব্য রাখেন। এসময় ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ হ্যান্ড মাইক এর সাহায্যে মানুষকে অযথা বাইরে ঘোরাফেরা না করে ঘরে থাকার পরামর্শ দেন। যারা বাইরে জরুরী কাজে আসছে তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply