নিজ সংবাদ ॥ কুষ্টিয়া শহরের বড় স্ট্রেশন রোডের সিআরপি ফ্লাওয়ার মিলে দ্বিতীয়বারের মত ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের আভিযানিক দল পঁচা, দুর্গন্ধ, শ্যাওলাযুক্ত গম দিয়ে আটা, ময়দা ও সুজি উৎপাদনের অভিযোগে মিলটিতে অভিযান পরিচালনা করে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা ও ৪৮ ঘন্টার মধ্যে মিলের আশেপাশে থেকে পঁচা, দুর্গন্ধ, শ্যাওলাযুক্ত গম সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন। র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে র্যাব মিলটিতে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সবুজ হাসান।
র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মাহফুজুর রহমান অভিযান শেষে গণমাধ্যমকে জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে সিআরপি ফ্লাওয়ার মিলে পঁচা, দুর্গন্ধ, শ্যাওলাযুক্ত গম দিয়ে আটা, ময়দা ও সুজি তৈরির খবর প্রকাশ ও প্রচার হয়ে আসছে। বিষয়টি র্যাবের নজরে আসলে প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সবুজ হাসান জানান, ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে। এই প্রতিষ্ঠানে গত কয়েকদিন আগেও অভিযান পরিচালনা হয়েছে তারপরও তারা সংশোধন হননি। আমরা অভিযান পরিচালনাকালে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সত্যতা পেয়েছি। শাস্তি হিসেবে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ ৪৩, ৫২ ও ৫৩ ধারা মোতাবেক ১ লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়েছে। পাশাপাশি এই মিলে রাখা পঁচা, দুর্গন্ধ, শ্যাওলাযুক্ত গম আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা খোঁজ রাখবো তারা সংশোধন না হলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এর আগে পঁচা, দুর্গন্ধ, শ্যাওলাযুক্ত গম দিয়ে আটা ময়দা সুজি উৎপাদনের সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচারের পর ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে মিলটির উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং পঁচা, দুর্গন্ধ, শ্যাওলাযুক্ত গম মিল থেকে সরানোর নির্দেশ দিলেও তাতে কর্ণপাত করেনি মিল মালিক।
স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া শহরের স্টেশন রোডের সিআরপি ফ্লাওয়ার মিলটি অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে আটা, ময়দা ও সুঁজি তৈরি ও বাজারজাত করে আসছে। বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রশাসনের লোকজনকে ম্যানেজে করে এই অপকর্ম করে আসলেও তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলো। র্যাব ও জেলা প্রশাসনের এই অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পাশাপাশি তারা এই মিলটিকে নিয়মিত নজরদারির মধ্যে রাখার অনুরোধ জানান।