নিজ সংবাদ ॥ কুষ্টিয়ায় প্রশাসনের আরোপ করা ‘কঠোর বিধি নিষেধ’ কোন কাজে আসছে না। জেলায় হু হু করে বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ। গতকাল সোমবার জেলায় রেকর্ড পরিমান করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। সোমবার জেলায় নতুন করে আরো ৯১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর তালিকাও। গতকাল সোমবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে আরো ২ জন রোগী। সেই সাথে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে আক্রান্তের হারও খুব একটা হেরফের হয়নি। গতকাল কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পিসিআর ল্যাবে মোট ২৯৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে ৯১টি নমুনা পজিটিভ হয়। পরীক্ষার বিপরীতে আক্রান্তের হার ৩২. ৭৩ শতাংশ। নতুন শনাক্ত হওয়া রোগীর মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ৩৯ জন, মিরপুর উপজেলায় ১২ জন, কুমারখালী উপজেলায় ১৭ জন, দৌলতপুরে ১৫ জন, খোকসা উপজেলায় ৩ জন ও ভেড়ামারা উপজেলায় ৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদিন আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন ২ জন। এনিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৭৩৬ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৮৫৮ জন মানুষ। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৩২ জন। তবে জেলায় দিনদিন করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠলেও প্রশাসনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা চলছে ঢিমেতালে। গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে কুষ্টিয়া পৌর এলাকায় সাত দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে করোনা প্রতিরোধ কমিটি। সেই বিধি নিষেধ এখন অনেকটা কাজীর গরু কেতাবে আছে গোয়ালে নেই এর মত অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। বিধিনিষেধ আরোপের পর তিনদিন পার হয়েছে। তবে শহরের এনএস রোড এর কিছু দোকানপাট বন্ধ ছাড়া আর কোনো বিধিনিষেধ মানতে দেখা যাচ্ছে না মানুষকে। শহরের কাঁচাবাজারগুলোতে দেখা যাচ্ছে উপচে পড়া ভিড়। যানবাহন ও প্রায় স্বাভাবিকভাবেই চলছে। কুষ্টিয়া পৌর এলাকায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মানুষ প্রতিদিন শহরে প্রবেশ করছে। গতবছর করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও পুলিশ প্রশাসন যেভাবে কঠোর ভূমিকা গ্রহণ করেছিল বর্তমানে প্রশাসনের মধ্যে সেটা দেখা যাচ্ছে না। তারা অনেকটা দায়সারাভাবে কাজ করে চলেছে। সচেতন মহল মনে করছে দ্রুত কুষ্টিয়া শহর ও জেলার যেসব অঞ্চলে করোনা রোগী মাত্রাতিরিক্তভাবে বেড়ে চলেছে সেসব এলাকায় কঠোর লকডাউন আরোপ না করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply