1. andolonerbazar@gmail.com : AndolonerBazar :
শিরোনাম :
এশিয়ান গেমস নারী ক্রিকেটে ভারতের স্বর্ণ নিউজিল্যান্ড সিরিজে ছিটকে গেলেন তাসকিন, তৃতীয় ওয়ানডের দলে খালেদ-আফিফ রাশিয়ায় শিশুরাও নিচ্ছে যুদ্ধের প্রস্তুতি আগামী লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস বিজয়ী হবে : রাহুল গান্ধী দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ৩৩ লাখ টাকা দান করলেন আমির খান বিনা চিকিৎসায় খালেদার মৃত্যু হলে পিঠের চামড়া থাকবে না : অলি বিএনপিকে ৩৬ দিনের আল্টিমেটাম আওয়ামী লীগের মির্জা আব্বাসের হুঁশিয়ারি : খালেদা জিয়াকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে বিদেশে না পাঠালে পরিণতি শুভ হবে না দেশের উন্নয়ন ও অর্জন তুলে ধরতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ডেঙ্গুতে ১৯ জনের মৃত্যু হাসপাতালে ভর্তি ৩০৩৩ রোগী

কুষ্টিয়া জেলাজুড়ে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন শেষ হবে রাত ১২টায়

  • সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ২৬ জুন, ২০২১

 

 

নিজ সংবাদ ॥ কুষ্টিয়া জেলাজুড়ে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন শেষ হচ্ছে আজ রবিবার রাত ১২টায়। লকডাউনের মেয়াদ আর বৃদ্ধি হবে কিনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানানো হয়নি। তবে  জেলার করোনা সংক্রমন ও মৃত্যুর হার বিবেচনায় আজ (রবিবার) জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরবর্তী নির্দেশনা জারী করা হতে পারে। কুষ্টিয়া জেলায় আরোপিত কঠোর লকডাউনের ৬ষ্ঠ দিন অতিবাহিত হয়েছে গতকাল শনিবার। প্রশাসনের  কঠোর নজরদারীতা সেই সাথে মানুষের সচেতনতা দুইয়ে মিলে মানুষের ঘর থেকে প্রয়োজন ও বিনা প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়ার প্রবনতা কমেনি। তবে সড়কে মানুষের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় অনেকটা কাজ হয়েছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞজনেরা।

শনিবার ছুটির দিন থাকায় সড়কে মানুষের চলাচল একেবারেই কম ছিল না। সরকারী অফিস আদালত বন্ধ থাকলেও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নির্দ্বিধায় তাদের সকল কার্যক্রম পরিচালিত করছে তাতে তাদের কর্মীরা প্রয়োজনেই ঘর থেকে বের হচ্ছে।

বেসরকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো লকডাউনের আওতায় থাকলেও কে কার কথা শোনে? সব প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে তাদের সামগ্রীক কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় ঘরের বাইরে করোনার শংকা নিয়েই বের হতে হচ্ছে। প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় এবং লক ডাউনের গুরুত্ব না দেয়ায় বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সকল কার্যক্রম অব্যাহত রাখায় তাদের কর্মচারী ও কর্মকর্তারা এই কঠোর লকডাউনে থাকছে বেজায় ব্যস্ত। নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা জানান-বাজারে  সবধরনের পণ্য সামগ্রী বিক্রি করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা গুনে শেষ করা যাবে না। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের একাধিক কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং ঐ ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টরা রয়েছেন। মার্কেটিং প্রতিষ্ঠান হওয়ায় তাদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সব সময় মাকের্টে অবস্থান করতে হচ্ছে বিধায় ইচ্ছে থাকা সত্বেও ঘরের মধ্যে থাকা কোনভাবেই সম্ভব নয়। এসব মার্কেটিং প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অধিকাংশ মোটর সাইকেল ব্যবহার করছে পাশাপাশি খুচরা ও পাইকারী বাজারগুলোতে তাদের বিচরণ করতে হচ্ছে। এদিকে এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা একই রকমের। সরকারী নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থেকেও জেলার কোন এনজিও প্রতিষ্ঠান বন্ধ নেই। মাঠ পর্যায়ে এদের সকল কার্যক্রম চলছে স্বাভাবিক গতিতে। এসব এনজিও প্রতিষ্টানের সাথে জড়িত হাজার হাজার নারী ও পুরুষেরা প্রয়োজনের তাগিদেই ঘর থেকে বের হচ্ছে।

গতকাল শহর এবং শহরতলীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে শুধু মাত্রই শহর এলাকার পরিচিত মোড় এবং এলাকাগুলোতে পুলিশী নজরদারী থাকায় সেখানে সাধারন জনগনের উপস্থিতি কম দেখা যায় কিন্তু শহরের অলিতেগলিতে সেই চিত্র একেবারেই ভিন্ন।  শহরের চৌড়হাস মোড় এলাকার প্রধান সড়কের পাশের দোকান প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও চিনিকল সড়কের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। শহরতলী কুমারগাড়া মোড়, বটতৈল মোড়, কবুরহাট, বিইডিসি বাজার, খাজানগর এলাকার সকল দোকানপাট দেদারছে খোলা রেখে মানুষজন স্বাভাবিক চলাচল করছে। গতকাল সকাল ৯টির দিকে এসব দৃশ্য দেখা গেছে। বটতৈল মোড়ের সকল দোকান খোলা ছিল। কবুরহাট বাজারে  সামাজিক দুরত্বের কোন বালাই নেই। মুখে মাস্ক না নিয়েই বাজারে ক্রেতা সাধারনের উপস্থিতি দেখা গেছে। খাজানগর চালের আড়ত এলাকার মানুষেরা চাল উৎপাদনের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। অনেক স্থানে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা আর মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনীহা চোখে পড়েছে। আবার শহরের সড়কে অটো রিকসা আর রিকসা চলাচলে বাধাগ্রস্থ করলেও মহাসড়কে রিকসা, অটো রিকসা, সিএনজি, নসিমন, করিমন, আলগামন, বালু/ইট বহনকারী ছোট ট্রাকগুলোতে মালামালবহন করে সড়কে দাপিয়ে বেড়াতে দেখা গেছে। দুপুরের পর থেকে শহরের থানাপাড়া বাঁধ এলাকার নতুন সড়কের আশে পাশে রাত অবধি সাধারন মানুষজনের চলাচলে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছিল। নদীর পাড়ে বেড়াতে আসা মানুষজনের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বাঁধ এলাকার মানুষের মাঝে সামাজিক দুরত্বের কোন বালাই নেই সেই সাথে সব বয়সের মানুষের অনিয়ন্ত্রিত চলাচল লক্ষ্য করা গেছে। আবার সড়কের পাশে অনেক স্থানে হকারদের দৌরাত্ব চোখে পড়ার মত ছিল। লক ডাউনের শুরু থেকে এ পর্যন্ত গড়াই নদীর কুলবর্তি এলাকায় প্রশাসনের কোন রকমেরই নজরদারী না থাকায় প্রতিদিন দুপুরের পর থেকেই সেখানকার পরিবেশ একেবারেই বিদঘুটে অবস্থার সৃষ্টি হয়। জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনকে শহরের  কমলাপুর বাঁধ, থানাপাড়া  হরিপুর সেতুর নীচে নদীর বাঁধ এলাকা একেবারেই শ্মশান পর্যন্ত এলাকায় বিশেষ নজরদারী বাড়াতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর
© All rights reserved ©2021  Daily Andoloner Bazar
Site Customized By NewsTech.Com