নিজ সংবাদ ॥ কুষ্টিয়া শহরের আমলাপাড়ার শিরিশ চন্দ্র ব্যানার্জী (এসসিবি) রোডে স্থানীয় সুরেশ অধিকারীর ছেলে শুভ অধিকারী ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর স্থানীয় সিরাজ মল্লিকের মেয়ে শাম্মি আখতারের কাছ থেকে এক শতকের একটু বেশি জায়গা ক্রয় করেন। ৫ মাস পূর্বে শুভ এই ছোট্ট এক ফালি যায়গাতেই ৬ তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে বাড়ি নির্মাণ শুরু করে। এতে এলাকাবাসি এবং তার প্রতিবেশিরা হতবাক হয়ে যায়। তাদের কথা হচ্ছে এত অল্প জায়গার উপর পৌরসভা কিভাবে এতবড় ভবন নির্মানের অনুমতি দেয়।এদিকে এই ভবন নির্মানের শুরু থেকেই শুভ তার প্রতিবেশিদের সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। বিবাদের কারন হিসেবে জানা যায় শুভর জমির দক্ষিনে দিকে রয়েছে পৌরসভার শিরিশ চন্দ্র ব্যানার্জী (এসসিবি), পশ্চিমে গৌতম চাকী, উত্তরে নওশের মল্লিক এবং পূর্ব দিকে চলাচলের পথ এবং মসলেম উদ্দিন ও এছের উদ্দিন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় একমাত্র দক্ষিন দিক ব্যাতিত কোন দিকেই এক ইঞ্চি পরিমান যায়গা ছাড়েনি সে। উপরন্তু একতলা কমপ্লিট করার পর দুই তলা থেকে পূর্ব এবং উত্তর দিকে দেড় ফিট করে ভবন স¯প্রসারিত করেছে। এদিকে বিষয়টি নজরে আসার পরে নওশের মল্লিকের ছেলে মোঃ সোহাগ ইসলাম বিগত ৩/৫/২০২১ ইং তারিখে কুষ্টিয়া পৌর কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পৌর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত পূর্বক বিগত ২০/০৫/২০২১ ইং তারিখে কুপৌ-২০২১/১৮৮৬ স্মারকের অনুকুলে শুভ অধিকারিকে একটি নোটিশ প্রদান করে। নোটিশে বলা হয় নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে নিজ খরচে ইমারতের অ-অনুমদিত নিল নকশা বহির্ভূত অংশ ভেঙে ফেলে পৌর নির্দেশনা অনুযায়ি কাজ করতে। অন্যথায় ৭ দিন পরে পৌরসভা অ-অনুমদিত নিল নকশা বহিভর্’ত অংশ ভেঙে ফেলবে। কিন্তু নোটিশ প্রাপ্তির ১১ দিন অতিবাহিত হলেও শুভ অধিকারী ভবনের অ-অনুমদিত নিল নকশা বহির্ভূত অংশ ভেঙে ফেলেনি। অন্যদিকে তারা পৌর কর্তৃপক্ষকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভবনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে ৩০/০৫/২০২১ ইং তারিখে পৌর নির্দেশনা না পালন করার বিষয়টি পুনরায় লিখিতভাবে পৌর কর্তৃপক্ষকে জানায়। এদিকে কুষ্টিয়া পৌর অঞ্চলে ভবন বিধি না মেনে বিভিন্ন এলাকায় হরহামেশায় এই ধরনের ভবন দেখা যাচ্ছে। এই বিষয়ে সচেতন মহল মনে করে এমন আই বহির্ভূত কাজ যাতে আর কেউ না করতে পারে সেজন্য পৌর কর্তৃপক্ষের কঠোর অবস্থান নেওয়া উচিত। দু একটি কঠোর পদক্ষেপ নিলে এমন ধৃষ্টতা আর কেউ দেখাবে না।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply