নিজ সংবাদ ॥ কুষ্টিয়া শহরের আড়–য়াপাড়ার মৃত নওশেদ চৌধুরী সম্পত্তি আত্মসাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একদল ভূমিদস্যু। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে নিজেদের মৃত নওশেদ চৌধুরীর কথিত আত্মীয় পরিচয় দিয়ে তার রেখে যাওয়া সম্পত্তি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে মৃত নওশেদ চৌধুরীর ছেলে হুমায়ন কবীর চৌধুরী (মিলন) বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেছেন। উল্লেখিত চারজন হলেন শহরের আড়–য়াপাড়া এলাকার ১নং বাহাদুর বিশ^াস লেনের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে রাশেদ ইকবাল বেবিন, একই এলাকার মৃত শাহাদৎ হোসেনের ছেলে মাসুদ, শহীদ লিয়াকত আলী সড়কের আক্কেল আলীর ছেলে শহিদুল ও একই এলাকার জুলফর রহমানের ছেলে পাভেল। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, হুমায়ন কবীর চৌধুরী (মিলন) এর পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া আর এস-১৩২৮ খতিয়ানের ৫৬৭৭/৫৬৮১ ও ৭৮৫২ দাগের জমি বে-আইনিভাবে দখলের চেষ্টা করে বেবিন গং। তাদের নিষেধ করলে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। এ ঘটনায় মিলনের ছোট ভাই বোরহান ওরফে কৌশিক বাদী হয়ে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৪ ধারায় বিধান মতে মিস ৮০/২১নং মোকদ্দমা করে। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। আদালতকে অমান্য করে উল্লেখিত ব্যক্তিগণ পূর্বপরিকল্পিতভাবে গত ২৪ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ৫৬৭৭ দাগের মধ্যে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে নালিশী জমির ঘেড়া বেড়া, বেড়ার বাঁশ ও খুটি উপরে ফেলে। হুমায়ন কবীর চৌধুরী (মিলন) জানান, পরবর্তীতে স্থানীয়রা ব্যাপারটি আমাকে জানালে আমি ও আমার ভাই কাজলসহ অন্যান্য লোক দ্রুত ঘটনাস্থলের গেলে বেবিন গং জমির পাশ দিয়ে চলে যায়। এখনো আমার জমির মধ্যে ভাংচুর করা বাঁশ ও বাঁশের কাবারী পড়ে রয়েছে। তিনি আরো জানান, প্রতিপক্ষরা ভূমিদস্যু হওয়ায় আমার পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে আমার পিতার মৃত্যুর পর আমাদের আইন সংগত সম্পত্তি অসৎভাবে আত্মসাৎ করার জন্য তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। প্রতিপক্ষগণ যেকোন সময় আমার সম্পত্তি জোর পূর্বক বেদখলের জন্য ষড়যন্ত্র করছে। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল ইসলাম জানান, এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।