1. andolonerbazar@gmail.com : AndolonerBazar :

কুষ্টিয়া সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

  • সর্বশেষ আপডেট : সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

 

মিরপুর প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার মিরপুরে “নিমতলা সুফলভোগী সমবায় সমিতি” কর্তৃক কুষ্টিয়া সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। রোববার দুপুরে উপজেলার ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের বীজনগর গ্রামে এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের পক্ষে সাধারন সম্পাদক খন্দকার টিপু সুলতান লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রান্তিক চাষী ও অসহায় লোকজনদের নিয়ে ১৯৯৩ইং সালে আমরা একটি সমবায় সমিতি গঠন করি। সংগঠনটি বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে নিয়োজিত। সংগঠনটি স্থাপিত হওয়ার পর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌলশীর অনুমতি নিয়ে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের সাতমাইল-নওপাড়া বাজার হয়ে কচুবাড়ীয়া বাজার পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারে বিভিন্ন ধরনের বৃক্ষ রোপন করে পরিচর্যা করে আসছি। মাঝে মধ্যে রাস্তার এই গাছ উপড়ে গেলে অথবা গাছের মৃত্যু হলে চুক্তিনামার শর্ত মোতাবেক সরকারের কোষাগারে টাকা জমাদান পূর্বক কার্যদেশ গ্রহণ করে গাছ কর্তন করি। গাছ কর্তনের অর্থ মসজিদ, মাদরাসা ও দুস্থ পরিবাররে মাঝে এ পর্যন্ত প্রদান করে আসছি। বর্তমানে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়ক প্রসস্থ ও উন্নতিকরণ কাজের জন্য বৃক্ষ কর্তন করা প্রয়োজন হওয়ায় সমিতির সাধারন সম্পাদক হিসেবে আমি নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) সড়ক বিভাগ কুষ্টিয়ার নিকট এবং নির্বাহী প্রকৌশলী সাকিরুর ইসলাম ও তত্ববধায়ক প্রকৌশলী মাসুদ কবিরকে আমাদের সংগঠনের কাগজপত্রাদি দেখায়। কাগজপত্রাদী যাচাই বাছাইকালে তারা অন্যত্র বদলী হয়ে যায়। পরবর্তীতে তদুস্থলে নতুন নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খান যোগদান করেন। তিনি যোগদানের পর তার কাছে গাছ কর্তনের বিষয়টা নিয়ে বলতে গেলে সে ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবী করে। পরবর্তীতে আমি সমিতির প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাহী বৃক্ষপালনবিধ বিপ্লব কুমারের কাছে গেলে তিনিও বলেন কোনরুপ ঝামেলা না করে আমাকে এবং কুষ্টিয়া নির্বাহী প্রকৌশলীকে ১০ লক্ষ টাকা করে মোট ২০ লক্ষ টাকা দিলে আমরা কাজটা করে দেবো। এরপর কোন উপায়ন্তর না পেয়ে টেন্ডারের নোটিশটি নিয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বিভাগের হাইকোর্ট ডিভিশনে একটি রিট পিটিশন দায়ের করি। দীর্ঘ শুনানীর পর ২০২২সালের ১৪ডিসেম্বর হতে চলতি বছরের ১৪মে পর্যন্ত গাছ বিক্রির সকল কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত প্রদান করেন। পরবর্তীতে দেখা যায় রাজশাহী বিভগীয় নির্বাহী বৃক্ষপালনবিধ বিপ্লব কুমার কুন্ড হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি গাছ কাটার কার্যাদেশ প্রদান করেন। যা হাইকোর্ট অবমাননার শামিল। পরবর্তীতে (সওজ) সড়ক বিভাগ কর্তৃক প্যানেল অ্যাডভোকেট নিয়োগ করে সুপ্রিম কোর্টে দীর্ঘ শুনানীর পরে কাগজ পত্র যাচাই বাছায়ান্তে স্থানীয় নিমতলা সুফলভোগী সমবায় সমিতির অনুকুলে চুক্তিনামার শর্তের মধ্যে ৬৫ভাগ সংগঠন ও ৩৫ভাগ সরকার পাবে মর্মে রায় প্রদান করেন। নির্বাহী প্রকৌশলীকে নির্দেশ প্রদান করেন যে, ৬৫ ভাগ গাছ সুফল ভোগী সমবায় সমিতির এবং ৩৫ভগ গাছ (সওজ) বিভাগের প্রাপ্য এই রায় সুপ্রিম কোর্টের ফুল বেঞ্চ প্রদান করেন। সেই হিসেব অনুযায়ী সাতমাইল, নওপাড়া বাজার হতে ১৩.৫০০ মাইল কচুবাড়ীয়া বাজার পর্যন্ত সকল বৃক্ষের ৬৫ ভাগ আমাদের অর্থাৎ নিমতলা সুফলভোগী সমবায় সমিতির। সুপ্রিম কোর্টের রায় অগ্রাহ্য করে নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) সড়ক বিভাগ কুষ্টিয়া ও নির্বাহী পালনবিধ (সওজ) লক্ষিপুর রাজশাহী ব্যক্তি সূবিধা পাওয়ার কারণে প্রান্তিক চাষীদের দীর্ঘদিনের কষ্টের ফসল যৎ সামান্য মূল্য নির্ধারণ করে বিক্রয় করে দিয়েছে। যা চুক্তিনামার শর্ত ও সুপ্রিম কোর্টের রায় ভঙ্গ করার শামীল। এই ধরনের স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে চুক্তিনামার শর্ত ও মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের রায় অমান্য করে প্রান্তিক চাষীদের অর্থাৎ সমিতির আনুমানিক ৮০ লক্ষ টাকার ন্যায্য দাবী থেকে বঞ্চিত করেছে। সমিতির সাধারন সম্পাদক খন্দকার টিপু সুলতান যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী (সওজ) এর দৃষ্টি আকর্ষন পূর্বক এহেন অন্যায়ের সুবিচার দাবী করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন, “নিমতলা সুফলভোগী সমবায় সমিতির” সভাপতি মনিরুজ্জামান, পৃষ্ঠপোষক নুরুল মাস্টার, ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের সদস্য রুপজান, সমিতির সদস্য মোঃ নুর ইসলাম প্রমুখ।

 

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর
© All rights reserved ©2021  Daily Andoloner Bazar
Site Customized By NewsTech.Com