1. andolonerbazar@gmail.com : AndolonerBazar :

খালেদার বিষয়ে মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে – আইনমন্ত্রী

  • সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ৮ মে, ২০২১

ঢাকা অফিস ॥ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর আবেদনের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল শনিবার দুপুরে এ তথ্য জানান আইনমন্ত্রী। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত পাঠানো হয়েছে কি না, এ বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, আমাদের মতামত এখনো পাঠাইনি। আজকে (গতকাল শনিবার) পাঠাব না, আজকে কোথায় পাঠাব? অফিস তো বন্ধ। আগামীকাল (আজ রোববার) সকালের দিকে আমরা আমাদের মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেব। তিনি বলেন, আবেদনের বিষয়ে মতামতটা আমরা ওঁদের (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) জানিয়ে দেব। সিদ্ধান্তটা আপনাদের উনারাই জানাবেন। দুটি মামলায় দ-প্রাপ্ত খালেদা জিয়া কারাবন্দি ছিলেন। নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দ- স্থগিত রয়েছে। বিদেশে যাওয়া যাবে না এবং বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিতে হবে- এই দুটি শর্তে তার দ- স্থগিত করা হয়। গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর ২৭ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় গত ৩ মে বেগম জিয়াকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। গত বুধবার (৫ মে) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে শামীম ইস্কান্দার আবেদনটি দিয়ে আসেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের জন্য পাঠানো হয়। গত বৃহস্পতিবার আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সবচেয়ে বড় জিনিস যেটা তা হলো, এর আগে ওঁর (খালেদা জিয়া) দ-াদেশ স্থগিত করা হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায়। ৪০১ ধারার কাজ কিন্তু সম্পন্ন হয়ে গেছে। তারপর আবার এটাকে ওপেন করার স্কোপ আছে কিনা সেটা আমরা দেখব। সেটা দেখে আমরা আমাদের অভিমত দেব। আজকে তো আর হবে না। যত শিগগির আমরা সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেব। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্র“য়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদ- দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদ-ের আদেশ দেন একই আদালত। রায়ে ৭ বছরের কারাদন্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদ-ের আদেশ দেন। গত বছরের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে দন্ড স্থগিত করে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে সরকার শর্তসাপেক্ষে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেয়। প্রথম দফা মুক্তির মেয়ার শেষ হয়ে আসলে গত বছরের ২৫ আগস্ট বেগম জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে স্থায়ী মুক্তি চেয়ে আবেদন করা হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার দ্বিতীয় দফায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ মাসের জন্য তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ায়। সর্বশেষ গত ২৫ মার্চ থেকে মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর
© All rights reserved ©2021  Daily Andoloner Bazar
Site Customized By NewsTech.Com