ঢাকা অফিস ॥ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, খালেদা জিয়া যেন সর্বোচ্চ চিকিৎসা পান এজন্য সরকার সব পদক্ষেপ নিয়েছে। খালেদা জিয়ার পছন্দ মতোই হাসপাতাল ও চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা করা হচ্ছে। ফলে তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন খালেদা জিয়া। গতকাল সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস-২০২১’ উপলক্ষে মাদকদ্রব্য ও নেশা সংস্থা আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনা তার প্রশাসনিক ক্ষমতা বলে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়েছেন যাতে ভালো থাকেন। এখন তিনি ঘরে অবস্থান করছেন এবং ভালো আছেন। গত ২০ বছর ধরে খালেদা জিয়ার এই সমস্যা চলছে। এই সমস্যার চিকিৎসা বাংলাদেশে হচ্ছে সুতরাং বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর দাবি অমূলক। তিনি বলেন, বেগম জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য সরকার আন্তরিক। আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ হচ্ছে। তিনি (খালেদা জিয়া) যখন, যেখানে যেভাবে চেয়েছেন, সেভাবেই চিকিৎসা চলছে। এ নিয়ে সরকারের প্রতি বিএনপির কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা উচিত। তথ্যমন্ত্রী বলেন, একজন আসামিকে মানবিক কারণে নির্বাহী আদেশে জেলের বাইরে অবস্থান ও সুচিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে বিএনপির পক্ষ থেকে অবশ্যই ধন্যবাদ দেয়া দরকার। এর আগে প্রেস ক্লাবে মানস আয়োজিত মাদকবিরোধী আলোচনা সভায় অংশ নেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, মাদক থেকে দূরে রাখতে পারিবারিক মোটিভেশন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য অভিভাবকদের দায়িত্ব নিতে হবে। মন্ত্রী বলেন, আমি আজীবন অধূমপায়ী। আমার বাবা ছিলেন ধূমপায়ী। ৮ বছর বয়সে বাবার সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি বাবাকে বলেন, সিগারেট না ছাড়লে আপনার ক্যান্সার হয়ে যাবে। তখন বাবা আমাকে শপথ করিয়ে ছিলেন, আমি যেনো জীবনে সিগারেট না খাই। বাবার সঙ্গে করা শপথ অনুযায়ী আজও সিগারেট খাইনি। তিনি বলেন, বন্ধুরা অনেক চেষ্টা করেছে, বলেছে- একটা টান দে, একটা খা। আমি তা করিনি। কারণ একটানের পরই আরেকটান, একটা খেলেই আরেকটা খাওয়ার বিষয় আসবে। এজন্য বাবাকে ধন্যবাদ জানাই। ড. অরূপ রতন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলমসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply