1. andolonerbazar@gmail.com : AndolonerBazar :

গাংনীতে খাদ্য গুদামে নিম্নমানের পচা চাল সংরক্ষণ ও বিতরণের অভিযোগে খাদ্য শস্য মনিটরিং কমিটির গুদাম পরিদর্শনে সত্যতা মিলেছে

  • সর্বশেষ আপডেট : মঙ্গলবার, ৪ মে, ২০২১

গাংনী প্রতিনিধি \ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা খাদ্য গুদামে নিম্নমানের পচা চাল সংরক্ষণ ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ভিজিডি, ভিজিএফ কার্ডধারীদের মাঝে খাবার অযোগ্য চাল বিতরণ ও সরবরাহের অভিযোগে উপজেলা খাদ্য শস্য সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির সদস্যবৃন্দ খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান ও উপকারভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা খাদ্য শস্য সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির প্রধান উপদেষ্টা মেহেরপুর-২ গাংনী আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন, গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আর এম সেলিম শাহনেওয়াজ ও উপজেলা কৃষি অফিসার কেএম শাহাবউদ্দীন আহম্মেদ গুদাম পরিদর্শনে আসেন এবং অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন। এসময় খাদ্য গুদামের ওসিএলএসডি হাসান সাব্বির উপস্থিত ছিলেন। ওসিএলএসডি সাব্বির জানান, আমি নতুন জয়েন করেছি। আমার আগের কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান আমাকে জানিয়েছিলেন, করোনাকালীন খাদ্য শস্য সংরক্ষণ করতে জরুরীভাবে কিছু নিম্নমানের চাল ক্রয় করতে হয়েছিল। কারন বিগত আগষ্ট সেপ্টেম্বর মাসে সরকারী নির্দেশে আমরা ৩৬ টাকা দরে নিম্নমানের চাল ক্রয় করেছি। কারন সে সময় খোলা বাজাওে চালের দাম ছিল ৪২-৪৪ টাকা। তাই আমরা বাধ্য হয়ে নিম্নমানের চাল ক্রয় করে গুদামজাত করেছিলাম। বর্তমানে সেইচাল নষ্ট হয়ে গেছে। আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে অবহিত করেছি। এনিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আর এম সেলিম শাহনেওয়াজ জানান, আমি ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে নিম্নমানর চাল সরবরাহের অভিযোগ পেয়েছি। আমি সংশ্লিষ্ট খাদ্য বিভাগকে জানিয়েছি। বিষয়টি সুরাহা করার জন্য। আমি এবিষয়ে কি করণীয় সেটা আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক জানান, ইউপি চেয়ারম্যান ও দলীয় নেতা কর্মীদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এর সাথে কারা জড়িত খুজে বের করা হবে। এইি পচা এবং খাবার অনুপযোগী চাল সরবরাহ করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হয়েছে। সর্বোপরি মাননীয় এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন দুটি খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, এটি অমার্জনীয় অপরাধ। আমার কাছে এমনও অভিযোগ রয়েছে, চাল সরবরাহ করার সময় বস্তায় ২ কেজি করে কম দেয়া হয়ে থাকে। পরবর্তীতে চাল বিতরণের দিন আমি সার্বক্ষণিকভাবে থাকবো। পচা ও নষ্ট চাল গুদামে সংরক্ষণ ও বিতরণ করে এই খাদ্য কর্মকর্তা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে কি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া যায় সে ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ প্রদান করেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা প্রাঙ্গনে অবস্থিত গুদাম নং-১ এর ৯নং লটের ৭৮.৭৮৬ মে. টন সমস্ত চাল-ই খাবার অনপযোগী, পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত। পরিদর্শনের প্রথমেই শিশিরপাড়া মোড়ে অবস্থিত ৩নং গুদামের ৭ নং লটের ১৫৪.৮৬০ মে. টন সমস্ত চাল নষ্ট দেখা গেছে। খাদ্য গুদামে কিভাবে পচা চাল সংগ্রহ করা হলো এবং কিভাবে পচা চাল ইউনিয়ন সচিবদের মাধ্যমে ভিজিএফ কার্ডধারীদের মাঝে বিতরণ করা হলো এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান গুদামের ওসিএলএসডি হাসান সাব্বির।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর
© All rights reserved ©2021  Daily Andoloner Bazar
Site Customized By NewsTech.Com