সাহাজুল সাজু ॥ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সীমান্তবর্তি তেঁতুলবাড়ীয়া গ্রামে ১৩জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মেহেরপুর জেলার তিনটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ৩৭জনের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ সনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ২৩জন। তবে উপজেলার সীমান্তবর্তি তেঁতুলবাড়ীয়া গ্রামেই ১৩জন, মেহেরপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ৯জন ও মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ৫জন। মেহেরপুর সিভিল সার্জন ডাক্তার নাসির উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মেহেরপুর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে নতুন প্রাপ্ত রিপোর্টের ১০২টির মধ্য পজেটিভ ৩৭জনের। এ নিয়ে জেলায় এ পযর্ন্ত ১৫৪জনের পজেটিভ সনাক্ত হয়েছে। এর মধ্য মেহেরপুর সদরে ৩০, গাংনীতে ৭৬ ও মুজিবনগর উপজেলায় ৪৮জন। জেলায় এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্তে মৃত্যুর সংখ্যা ২৬জনের। এর মধ্য মেহেরপুর সদরে ১০, গাংনীতে ১০ ও মুজিবনগর উপজেলায় ৬জন। আক্রান্তের মধ্য এ পযর্ন্ত সুস্থ হয়েছেন ৯১৬জন। এদিকে মেহেরপুর জেলার গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার সীমান্তঘেষা গ্রামগুলোতে করোনা সংক্রামণ বেড়েই চলেছে। ভারতে বেশি আক্রান্ত হওয়ার কারণে এ রোগে সীমান্তবর্তি গ্রামে প্রভাব বিস্তার করছে। কারণ মেহেরপুরের সীমান্তের ওপারে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলা। এ জেলার করিমপুর, তেহট্টি ফুলবাড়িয়া, বারুইপোতা, খানজিপুর, মোবারকপুর, লালবাজার, কৃষ্ণনগর, বেতায়, গোবিন্দপুর, হৃদয়পুর, সাহাপুর, নবীননগর গ্রাম। সীমান্তে সিলগালা থাকা সত্বেও সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে শতশত ভারতীয় কৃষকরা প্রবেশ করছেন নোমান্সল্যান্ডে। ফলে দু’দেশের কৃষকরা পাশাপাশি মাঠের ক্ষেতে কাজ করছেন। ক্ষেতে কাজ করার সময় দু’দেশের কৃষকরা কখনও কখনও এক সাথে মেলামেশা করছেন। গাংনীর সীমান্তবর্তি মৈত্রাপুর গ্রামের কৃষক মোকাদ্দেস আলী জানান, আমরা সীমান্তবর্তি গ্রামে বসবাস করি। মাত্র কয়েকশত মিটার দূরে ভারত। তফাৎ শুধু কাঁটাতার। একই জমির পাশাপাশি কাজ করতে হলে দু’দেশের কৃষকদের মেলামেশা স্বাভাবিকভাবে হয়ে ওঠে। করোনার এ প্রভাব বিস্তারের ফলে মেহেরপুর জেলার গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলায় লকডাউন খুবই জরুরী বলে মনে করছেন এলাকার সচেতনমহল।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply