গাংনী অফিস ॥ মেহেরপুর গাংনীর এসএম প্লাজায় বাজার কমিটির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মানিক ও তার ছেলেসহ তিন জনের উপর নৃশংসতার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তিন আসামীকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার মেহেরপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট(প্রথম)আদালত তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। জানা গেছে, গত ২৯ মে দুপুরে ব্যবসায়ি হেলাল ও তার লোকজন এক দোকান কর্মচারীকে নির্যাতন করলে বাজার কমিটির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মানিক প্রতিবাদ করেন। এতে রাগান্বিত হয়ে ব্যবসায়ি হেলাল ও তার ভাই বেলাল এবং ভাতিজা সাবরি ধারালো চাপাতি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে মানিককে। এসময় মানিককে বাঁচাতে এসে আহত হন মানিকের ছেলে সোহান ও ব্যবসায়ি স্বপন । এসএম প্লাজার অন্যান্য ব্যবসায়িরা জোটবদ্ধ ভাবে এগিয়ে আসলে হেলাল ও তার ভাই বেলাল এবং ভাতিজা সাবরি পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গাংনী থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। যার নম্বর জিআর ১২০/২১। মামলার আসামীরা প্রকাশ্যে ঘোরা ফেরা এমনকি বেশ কয়েকটি ফেসবুক ও অনিবন্ধিত ওয়েভ পোর্টালে লাইভে এসে হত্যার ব্যাপারে জনগনকে জানালেও পুলিশের চোখে তারা ছিল আত্মগোপনে। অবশেষে আসামীরা আদালতে আত্মসমর্পনের সিদ্ধান্ত নেয় এবং সোমবার আদালতে জামিন নিতে আসলে মেহেরপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট(প্রথম) আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তরিকুল ইসলাম আসামীদেরকে জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান। এদিকে আসামীদের শাস্তির দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়িরা। একজন ব্যবসায়ি হয়ে অপর ব্যবসায়ির উপর হামলা ও পাল্টা মামলা করায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন আসামীরা। এসএম প্লাজার ব্যবসায়ী এনামুল হক জানান, ঘটনার দিন আহতদেরকে বাঁচানোর চেষ্টা করা ও চিকিৎসায় সহযোগিতা করায় এনামুলসহ কয়েকজনের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে হেলাল। ঘটনার দিন আহতদের নিয়েই ব্যস্ত ছিল সবাই। কেউ হামলা করেনি। এমনকি ফেসবুক লাইভে এসেও কোন হামলার কথা বলেনি আসামীরা। কোন আঘাতের চিহ্নও দেখতে পাননি দর্শকরা। হেলালদের এ মামলা প্রত্যাহারেরও দাবী জানান ব্যবসায়িরা।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply