গাংনী প্রতিনিধি ॥ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট ওষধ ব্যবসায়ি এবং সমাজ সেবক গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না-রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি মা, ২ সন্তান,ভাই বোনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। গোলাম মোস্তফা গাংনী উপজেলার সহড়াতলা গ্রামের মৃত ওমেদ আলী বিশ্বাসের সেজো ছেলে। গতকাল শনিবার বিকেল ৫টার দিকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে তিনি সকালে নিজ বাসভবন গাংনী উপজেলা শহরের শিশিরপাড়ায় অসুস্থ্য হয়ে পড়েছিলেন। পরিবারের সদস্যরা তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার ৭ ঘণ্টা পর মারা যান। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গোলাম মোস্তফার নিজ গ্রাম গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের সহড়াতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক গােরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। গোলাম মোস্তফার রাজনৈতিক জীবন ছাত্রলীগ দিয়ে শুরু হয়। পরবর্তি তিনি যুবলীগ,কৃষক লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সবশেষে তিনি গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘ বছর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তিনি রাজনৈতিক কারণে প্রশাসনের মামলা-হামলার শিকার হয়েছিলেন। গোলাম মোস্তফা শুধু রাজনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলেন না। এর পাশাপাশি তিনি অসহায় মানুষের চিকিৎসা, খাদ্য,বস্ত্রসহ নানা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতেন। মোস্তফা ছিলেন অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সর্বদা সােচ্চার। এদিকে, বর্ণাঢ্য এ রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে শােক প্রকাশ করেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন দাদুল, মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খােকন, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ খালেক, সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হােসেন, গাংনী পৌরসভার মেয়র আহম্মেদ আলীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।