দৌলতপুর প্রতিনিধি ॥ গ্রীষ্মকালীন বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পাচ্ছেন কুষ্টিয়ার মিরপুরের সবজি চাষীরা। বিভিন্ন ধরণের সবজি চাষ করে তারা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে সবজি’র চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সবজি বাজারে সরবরাহ করছেন তারা। কুষ্টিয়ার মিরপুরে চলতি মৌসুমে ৭৩৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরণের সবজির চাষ হয়েছে। বিস্তির্ণ মাঠ জুড়ে এখন গ্রীষ্মকালীন বেগুন, পটল, কচু, পুঁইশাক, শিম, লালশাক, লাউ, করলা, ধুন্দলসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির সমারোহ। সবজির পরিচর্যা ও বাজারজাতকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকার কারনে সবজি চাষ করে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে কয়েকগুন লাভবান হচ্ছেন সবজি চাষীরা। আর তা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাজারজাতকরণ করা হচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। সবজি চাষীরা জানান, তারা বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছেন। বিশেষ করে বেগুন চাষে তাদের উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে দ্বিগুনেরও বেশী লাভ হয়েছে। বিঘা প্রতি ৫০ হাজার খরচ করে ইতোমধ্যে বিক্রয় হয়েছে প্রায় দুই লক্ষ টাকা। আরো বিক্রয় হবে চাষীরা জানান। চাষীদের সবজি ক্ষেত থেকে সবজি ক্রয় করে তা বিক্রয় করে ব্যবসায়ীরাও লাভবান হচ্ছেন। পতিত জমিসহ বিভিন্ন জমিতে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষে ফলন ভাল হয়েছে এবং সবজি চাষ করে সবজি চাষীরাও লাভবান হচ্ছেন। আর সবজি চাষে ভাল ফলনের জন্য কৃষি বিভাগ তদারকি ও পরামর্শ দিয়ে থাকেন চাষীদের। এমন কথা জানিয়েছেন মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ঘোষ। কৃষকদের বেশী বেশী সবজি চাষে উৎসাহ ও প্রণোদনা দিলে একদিকে গ্রীষ্মকালীন সবজির চাহিদা মিটবে অপরদিকে অর্থকরী ফসল সবজি চাষ করে তারা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হবেন।