1. andolonerbazar@gmail.com : AndolonerBazar :
বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ০৪:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মিরপুর উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা মিরপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহুরা খাতুনের বিদায় সংবর্ধনা খোকসায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে ২৬ টি সরকারি ঘরের চাবি হস্তান্তর কুষ্টিয়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দুই জনকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান সিটি কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়া সদরে নতুন করে স্বপ্নের ঘর পেল ৪২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার আলমডাঙ্গায় ১৭জন ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে  জমি ও ঘর হস্তান্তর ভেড়ামারায় খালে ডুবে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর মৃত্যু মিরপুরের নওপাড়া বাজারে শান্তি সমাবেশ কুষ্টিয়ায় কিশোর গ্যাং শব্দটি শুনতে চাই না : এমপি হানিফ

চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষা

  • সর্বশেষ আপডেট : সোমবার, ১২ জুলাই, ২০২১
  • ৯৩ মোট ভিউ

 

এফএনএস এক্সক্লুসিভ: দেশের লাখ লাখ শিক্ষার্থী দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রহর গুণে চলেছে। কিন্তু করোনা মহামারীতে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষা। খোদ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও জানে না কবে নাগাদ শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবে। তারাও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেও তা এক দফা পিছিয়ে দিয়েছে। নতুন করে ফের তারিখ ঘোষণা করা হলেও নির্ধারিত দিনে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব কিনা তা এখনো নিশ্চিত নয়। ফলে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সম্মান প্রথম বর্ষে ভর্তির পরীক্ষা। অথচ সঠিক সময়ে এইচএসসি পরীক্ষা, ফল প্রকাশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হলে নতুন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস গত বছর ডিসেম্বর থেকেই শুরু হতো। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে না পারায় একাডেমিক ক্যালেন্ডার ওলট-পালট হয়ে গেছে। করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আটকে রয়েছে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত পরীক্ষাও। ওই পরীক্ষাগুলো নিতে পারলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি ব্যাচ বেরিয়ে যেত। তারপর প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করা যেত। কিন্তু এখন সব কিছুই আটকে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে ভর্তি পরীক্ষা আরো পিছিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখন স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত পরীক্ষার দিকেই বিশেষ জোর দিচ্ছে। আবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকাদান সম্পন্ন করে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হলে প্রথমেই আটকে থাকা একাডেমিক পরীক্ষাগুলো শেষ করার উদ্যোগ নেয়া হবে।

সূত্র জানায়, বিদ্যমান মহামারীতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় ছিল। সেজন্য উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের পক্ষ থেকে একটি কমিটিও করা হয়। তবে নানা পর্যালোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হয় বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে লাখ লাখ ভর্তিচ্ছুর পরীক্ষা এভাবে অনলাইনে নেয়া সম্ভব নয়। তাতে ভর্তি পরীক্ষার স্বচ্ছতা শতভাগ বজায় রাখার নিশ্চয়তা মিলবে না। ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষ ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।

সূত্র আরো জানায়, করোনা সংক্রমণের হার বাড়তে থাকায় দেশের পুরোনো ও বড় সব বিশ্ববিদ্যালয়ই ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে দিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ৩১ জুলাই চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটের তত্ত্বীয় পরীক্ষার মধ্য দিয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু করার কথা রয়েছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তির আবেদন গ্রহণ শেষে গত ১০ জুন পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তা স্থগিত করা হয়। প্রাক-নির্বাচনী ও চূড়ান্ত ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ১০ দিন আগে জানানো হবে বলে জানানো হয়েছে। আর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন গ্রহণ চললেও এখনো ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ২০ আগস্ট থেকে এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ১৬ আগস্ট থেকে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। আর গুচ্ছভুক্ত ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন গ্রহণ গত ২৫ জুন শেষ হয়েছে। মোট ৩ লাখ ৬১ হাজার আবেদন পড়েছে। তার মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে আবেদন পড়েছে এক লাখ ৯২ হাজার। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সর্বোচ্চ দেড় লাখ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নিতে পারবে। প্রাথমিক বাছাই শেষে বাকি শিক্ষার্থীরা বাদ পড়বে। ৭টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৪ সেপ্টেম্বর এবং ৩টি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার নতুন তারিখ আগামী ১২ আগস্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। আর যেসব বিশ্ববিদ্যালয় জুলাইয়ের শেষে বা আগস্টের শুরুতে পরীক্ষা নিতে চেয়েছিল, তাদের ভর্তি পরীক্ষার তারিখও এখন পেছাতে হবে। যদিও কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির আবেদন গ্রহণ করলেও এখনো পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেনি। এদিকে গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতির আওতায় আসা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে শিগগিরই কমিটির সভায় বসে নতুন সিদ্ধান্ত জানানো হবে। ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার কমিটির সদস্য সচিব ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান জানান, গুচ্ছ পরীক্ষা নিয়ে আপাতত নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেই। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তে যাওয়া যাচ্ছে না। তবে খুব শিগগিরই সবাইকে নিয়ে একটি অনলাইন সভা ডাকা হবে। সেখানে কোনো সিদ্ধান্ত এলে জানিয়ে দেয়া হবে। অন্যদিকে গুচ্ছ ভর্তি কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ছাদেকুল আরেফিন জানান, ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে সকল সিদ্ধান্ত সভায় আলোচনার ওপর ভিত্তি করে নেয়া হবে। এ মুহূর্তে প্রাথমিক আবেদন শেষ হয়েছে; সিলেকশন রেজাল্ট প্রক্রিয়াধীন। মিটিংয়ের আগে ভর্তির বিষয়ে কিছু জানানো সম্ভব নয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর
© All rights reserved ©2021  Daily Andoloner Bazar
Theme Customized By Uttoron Host

You cannot copy content of this page