ঢাকা অফিস ॥ চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত থেকে আগামী ৬ জুন পর্যন্ত এই লকডাউন বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখার উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে গতকাল রোববার এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা গতকাল ৩০ মে মধ্যরাত থেকে আগামী ৬ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। এর আগে করোনার সংক্রমণ রোধে সারা দেশের চলমান বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর কথা বলেছিলেন জাতীয় পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ। ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেছিলেন, ‘দেশে করোনা সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ভারতীয় ভ্যারিয়্যান্টও ধরা পড়ছে এলাকাভেদে। সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার বিবেচনায় যানবাহন চলাচল ও মানুষের কার্যক্রমের ওপর চলমান বিধিনিষেধ আরও বাড়ানো যেতে পারে।’ অধ্যাপক শহিদুল্লাহ এনিটিভির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বিধি-নিষেধের ফল তো ভালোই আসছে।’ সব কিছু স্বাভাবিক করে দিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে বলেও আশঙ্কা তাঁর। সংক্রমণ রোধে সীমান্ত এলাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একযোগে কাজ করার পরামর্শ এই বিশেষজ্ঞের। অধ্যাপক শহিদুল্লাহ আরও বলেন, ‘সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে যেখানে সংক্রমণের হার বেশি, সেখানে লকডাউন অবশ্যই চালিয়ে যেতে হবে। পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর উন্নতি না হওয়া সাপেক্ষে এই লকডাউনটা আপাতত অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত চালানো উচিত। সরকার যদি এই লকডাউনটা আর না বাড়ায়, তা হলে সারা দেশের জন্য যা করতে হবে, তা হলো বিধি-নিষেধ করতে হবে। সেই বিধি-নিষেধের মধ্যে একটি হলো সভা-সমাবেশÑএটা বন্ধ রাখতে হবে, পর্যটনকেন্দ্রগুলো আপাতত বন্ধ রাখতে হবে, অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহণগুলোকে চলাচল করতে হবে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি যেন শক্তভাবে মেনে চলা হয়।’
You cannot copy content of this page
Leave a Reply