বিনোদন প্রতিবেদক ॥ কবি, গীতিকার, ‘সালাম সালাম হাজার সালাম…’ গানের রচয়িতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল-এ-খোদা (৮১) রোববার ভোর চারটার দিকে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ফজল-এ-খোদার বড় ছেলে ওয়াসিফ-এ-খোদা তার মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রসঙ্গত, ফজল-এ-খোদার স্ত্রী মাহমুদা সুলতানা, তাদের বড় ছেলে ওয়াসিফ-এ-খোদাও সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত। তাদের মধ্যে মাহমুদা সুলতানাও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ফজল-এ-খোদা বহু কালজয়ী গানের গীতিকার। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য-‘যে দেশেতে শাপলা শালুক ঝিলের জলে ভাসে’, ‘ভালোবাসার মূল্য কতো, আমি কিছু জানি না’, ‘কলসি কাঁধে ঘাটে যায় কোন রূপসী’, ‘বাসন্তী রং শাড়ি পরে কোন রমণী চলে যায়’, ‘আমি প্রদীপের মতো রাত জেগে জেগে’, ‘ভাবনা আমার আহত পাখির মতো’, ‘প্রেমের এক নাম জীবন’, ‘বউ কথা কও পাখির ডাকে ঘুম ভাঙেরে’, ‘খোকন মণি রাগ করে না’। তিনি বেতারে গীতিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন ১৯৬৩ সালে। ১৯৬৪ সালে টেলিভিশনে গীতিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ছড়াকার হিসেবে লেখালেখি শুরু করেছিলেন ফজল-এ-খোদা। দেশাত্মবোধক, আধুনিক, লোক সংগীত এবং ইসলামিক গান লিখে তিনি প্রশংসা কুড়িয়েছেন। ঢাকা বেতারের সাবেক এই আঞ্চলিক পরিচালক শিশু কিশোরদের সংগঠন শাপলা শালুকের আসরের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। বিবিসির জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাংলা গানের তালিকায় সেরা ২০ গানের মধ্যে ফজল-এ-খোদার লেখা ‘সালাম সালাম হাজার সালাম গানটি’ রয়েছে ১২তম স্থানে। ১৯৪১ সালের ৯ মার্চ পাবনা জেলার বেড়া থানার বনগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply